সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে ১.৩৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে, যা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এর আগে দেশে এক মাসে সর্বনিম্ন ১.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের এপ্রিলে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৫৪ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ।
ব্যাংকার ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বেশি হওয়ায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসায় এভাবে ধস নেমেছে। খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি পাওয়ায় প্রবাসীরা ‘হুন্ডি’র মতো অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে টাকা পাঠানোতে আকৃষ্ট হচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা।
আগস্ট মাসে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের মাসের তুলনায় ১৮.৭৮ শতাংশ হ্রাস পায়, যা বিগত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল।
দেশের ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ এভাবে কমে যাওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে ১.৬ বিলিয়ন ডলার এবং জুলাইয়ে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৫৬ বিলিয়ন ডলার।
এ বছরের আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স আসা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১.৫৭ শতাংশ কমেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ১০.৭৪ লাখ কর্মী চাকরির জন্য বিদেশে যাওয়া সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। অথচ ২০২২-২৩ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫.৫৯ শতাংশ বেশি কর্মী বিদেশে গেছেন।