মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহীর অর্থনীতিতে পানের গুরুত্ব বাড়ছে। পান চাষ এবং উৎপাদন রাজশাহীর গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে। এখানকার অনেক চাষীর জীবন-জীবিকা এই অর্থকরি ফসলের উপর নির্ভরশীল। বহুকাল ধরেই এই অঞ্চলের কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জীবিকার ক্ষেত্রে পান প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে। সম্ভাবনাময় পানের অর্থনীতিকে আরও সম্প্রসারণে এবার ‘পান গবেষণাকেন্দ্র’ তৈরির প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর মোহনপুর, পবা, দুর্গাপুর, বাগমারা, চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলার সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়। এর মধ্যে মোহনপুরেই সবচেয়ে বেশি পান চাষ হয়। দেশে-বিদেশে রাজশাহীর পানের সুখ্যাতি রয়েছে। মাত্র ১০ কাঠা জমিতে পান চাষ করলেই সংসার চালিয়ে নেয়া যায়। রাজশাহীতে নিজস্ব জমির পাশপাশি ইজারা নিয়েও পান চাষাবাদ করে স্বচ্ছল হয়েছে অনেক কৃষক।
এমন বাস্তবতায় কৃষকরা অনেক সময় পান চাষাবাদে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। এ বিষয়ে বিশেষায়িত জ্ঞান না থাকায় কৃষি বিভাগও অনেক সময় সঠিক পরামর্শ দিতে পারছেন না। এ থেকে উত্তরণে ‘পান গবেষণাকেন্দ্র’ তৈরির প্রস্তাবণা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাজশাহীতে বছরে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার পান বেচাকেনা হয়। যা রাজশাহীর গ্রামীণ অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক সময় সঠিক পরামর্শ না পেয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নতুন নতুন রোগের আক্রমণ হচ্ছে। একারণে তারা গত আড়াই মাস আগে রাজশাহীতে ‘পান গবেষণাকেন্দ্র’ তৈরির প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে একটি দল মোহনপুরের মৌগাছি এলাকাকে পছন্দ করে গেছেন। এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে পান গবেষণাকেন্দ্র স্থাপিত হবে।