1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
রাজশাহীতে মুক্তা বিক্রির বাজার না থাকায় সম্ভাবনার ‘মুক্তা’ রুহুলের গলার কাঁটা - Uttarkon
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা : যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার হয়– মজিবর রহমান মজনু আদমদীঘিতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঘোড়া মার্কার প্রার্থীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা বগুড়ায় সেই নারীর গলায় গুলির অস্তিত্ব পেয়েছে চিকিৎসকেরা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা : খাদ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে ট্রাক বোঝাই ধান চুরি মামলার মূলহোতাসহ গ্রেফতার-৩, ট্রাক জব্দ সারিয়াকান্দিতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা প্রচন্ড গরমে চাহিদা বেড়েছে মহাদেবপুরে তৈরি হাত পাখার মহাদেবপুরে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেত মজুর ও কৃষক ফ্রন্টের মানববন্ধন দুবাইয়ে বাংলাদেশীদের শত শত বাড়ি হলো কিভাবে

রাজশাহীতে মুক্তা বিক্রির বাজার না থাকায় সম্ভাবনার ‘মুক্তা’ রুহুলের গলার কাঁটা

  • সম্পাদনার সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩
  • ৭১ বার প্রদশিত হয়েছে

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: ঝিনুকের পেটে মুক্তা। তাও আবার বিভিন্ন নকশার। এমন মূল্যবান ঝিনুক উৎপাদন করেন রাজশাহীর রুহুল আমিন। উদ্যোক্তা রুহুলের রয়েছে অলঙ্কারে ব্যবহার উপযোগী এমন ৪ হাজার ডিজাইনের মুক্তা। যার গ্রেড ‘এ, বি আর সি’। তবে সম্ভাবনার এই মুক্তাই এখন রুহুলের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। রাজশাহীতে মুক্তা বিক্রির বাজার না থাকায় প্রায় ছয় লাখ টাকার মুক্তা ঘরে পড়ে আছে রুহুলের। ঝিনুকে মুক্তা চাষী রুহুল আমিন রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার ধূরইল ইউনিয়নের ছোট পালশা গ্রামের বাসিন্দা। রুহুল বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নরত। গ্রামে পুকুরে উচ্চ মানের ডিজাইনার মুক্তা তৈরি করতে রুহুল ইমেজ ইমপ্লান্টিং (ছবি রোপন) পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। রুহুল পুকুরে কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে ইমেজ ইমপ্লান্টিং পদ্ধতিতে ঝিনুকের পেটে মুক্তা চাষ করছেন তিনি। পেটে মুক্তা চাষের জন্য দুই লাখ ৩৭ হাজার টাকা খরচে রুহুল প্রস্তুত করেছে দুই হাজার ঝিনুক। যা থেকে পাওয়া যাবে ১০ ধরনের ৪ হাজার ডিজাইনের মুক্তা। এ থেকে রুহুলের আয় হবে প্রায় ছয় লাখ টাকা।
মুক্তা উৎপাদন করেও বিক্রি করতে পারছেন না রুহুল। বিক্রির জন্য রাজশাহীতে ব্যবস্থা না থাকায় আক্ষেপ করে রুহুল আমিন বলেন, আমার কাছে যে মুক্তা আছে, বাজার ভালো থাকলে দাম হবে প্রায় ৬ লাখ টাকা। তবে রাজশাহীতে বিক্রি করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। আর কারো মাধ্যমে বিক্রি করতে গেলে তিনি দাম দিতে চাচ্ছে না। যে মুক্তার দাম ৬০০ টাকা। তার দাম বলেছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তাই মুক্তাগুলো বাড়িতে সংরক্ষণ করে রেখেছি। বাবা ধান, পানসহ বিভিন্ন ফসল বিক্রি টাকা দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে মুক্তাগুলো পড়ে থাকায় আমার টাকা আটকে আছে। সরকারের সংশ্লিষ্টারা বিক্রির উপযোগী মার্কেট তৈরি করলে আমাদের মতো লেখাপড়া অবস্থায় উদ্যোক্ত হওয়া মানুষগুলো মুক্তা চাষে ঝুঁকবে।
রুহুল আমিন জানান, ২০২২ সালের জুলাইয়ে পুকুরে কার্পজাতের মাছ চাষের করে উদ্যোগ গ্রহণ করি। তারপরে বিভিন্ন এলাকার জেলেদের মধ্যেমে ঝিনুক সংগ্রহ করা হয়। ঝিনুক সাধারণত মুক্তা উৎপন্ন করে খাদ্যের কণা বা পরজীবী, তাদের আবরণে, যেখানে অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি সঞ্চিত থাকে। ঝিনুক এক ধরণের কার্বনেট খনিজ এবং প্রোটিন নিঃসরণ করে যা ন্যাক্র নামে পরিচিত একটি উপাদান তৈরি করে, যা একটি মুক্তার নিউক্লিয়াস। মলত্যাগের সাথে মুক্তার আকার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ন্যাক্রের স্তরগুলো যোগ করা হয়। এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে ফসল কাটার জন্য মুক্তার পর্যাপ্ত আকারে পৌঁছাতে তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ইমেজ ইমপ্লান্টিং কৌশলটি সময়কালকে কমিয়ে আট মাস করে।
রুহুল বলেন, আমি ইউটিউব থেকে মুক্তা চাষের কথা শুনেছি এবং তারপর মিঠা পানির মুক্তা বিশেষজ্ঞ ড. নজরুল ইসলামের কাছে কিছুদিন প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এরপর পুকুরে ২ হাজার ঝিনুক, দড়ি, বোতল ও ক্রেটসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে এনে প্রস্তুত করি। গত বছরের জুলাই মাসে ঝিনুকের ম্যান্টেল টিস্যুর ভিতরে কীভাবে ছবি রোপণ করতে হয় সে সম্পর্কে জানি। এই পদ্ধতির জন্য অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মোম এবং ক্যালসিয়ামের মতো বিরক্তিকর উপাদানগুলো এমনভাবে ঢোকানো প্রয়োজন যা কৃত্রিমভাবে মুক্তার বিকাশের সময় ন্যাক্রে নিঃসরণকে প্রভাবিত করে যাতে এটি একটি নির্দিষ্ট আকার নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা দামের ৪ হাজারটি ছবি রোপণ করেছি। যা উচ্চমানের ডিজাইনার মুক্তা। এর প্রতি পিস ৭০০ টাকা থেকে নিম্নমানের ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি তার পুকুর থেকে প্রায় ১ লাখ ২ হাজার টাকা বার্ষিক লাভ পান, যেখানে রুই, কাতলা এবং অন্যান্য কার্প প্রজাতি রয়েছে।
আশ্রয় এনজিও ক্ষুদ্রঋণ পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ‘কারিগরি সহয়াতা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। দীঘ ১০ চেষ্টার পরে সে সফল ভাবে মুক্তা চাষ করতে পেরেছেন।’
নগরীর সাহেব বাজারের অর্চনা জুয়েলার্সের মালিক অসীম সরকার বলেন, রাজশাহীতে ঝিনুকের ভেতরে থানা মুক্তার তেমন চাহিদা নেই। কখনও কোনো ক্রেতা ঝিনুকের মুক্তার অর্ডার দিলে তখন আমরা করে দেয়। মৎস্য অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রউফ বলেন, বাংলাদেশে মুক্তা উৎপাদন করা হচ্ছে। কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে ঝিনুক সংগ্রহ করে মুক্তা উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে বৈজ্ঞানিকভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মুক্তা উৎপাদন করা হচ্ছে।
মোহনপুর উপজেলার ধূরইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যদি সে ঝিনুক থেকে মুক্তা উৎপাদন করে থাকে তাহলে ভালো। লেখাপড়ার পাশাপশি সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সে বেকার থাকছে না। অনেক ভালো উদ্যোগ।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা ফাতেমাতুজ্-জোহরা বলেন, ঝিনুক থেকে মুক্তা উৎপাদনের বিষয়টি কেউ কখনও আমাকে বলেনি। তবে বিষয়টি আমি দেখব।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies