গাজীপুরের নির্বাচনটি কেবলমাত্র একটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নয়, বলতে গেলে এটা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্টেজ রিহার্সেল। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ এবং সংস্থাগুলো তাকিয়ে আছে যে গাজীপুরের নির্বাচনটি সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। রোববার বিকেলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর হোসেন এসব কথা বলেন। শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে স্থাপিত নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি প্রিজাইডিং অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন থেকে আমরা যারা এখানে আছি, তারা সবাই আপনাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য আছি।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, বিশ্বকাপ খেলার যখন আয়োজন করা হয়, তখন আয়োজনকারী সংস্থা কখন খেলা হবে, কোন কোন দেশ খেলবে, কোথায় খেলা হবে তা নির্ধারণ করে। কিন্ত আসল খেলাটা পরিচালনা করে রেফারি। সমস্ত মানুষ চিনে রেফারি ও খেলোয়ারদেরকে। সমস্ত দর্শকরা তাকিয়ে থাকে রেফারি ও খেলোয়ারদের দিকে। আগামী ২৫ মে সমস্ত জাতি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বের অনেকগুলো মোড়ল দেশ তাকিয়ে থাকবে আপনাদের দিকে এবং ভোটার ও প্রার্থীদের দিকে। অতএব আপনারা কেমন পারফরমেন্স করছেন, সেটা প্রশংসিত হলে সেটার একটা ভাগ আমরা পাব।
নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর হোসেন আরো বলেন, ভোট গ্রহণের দিন ভোটকেন্দ্রের সর্বাধিনায়ক হচ্ছেন আপনি। সেখানে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব সবাই আপনার অধীন। কেন্দ্রের বাইরে তারা দায়িত্ব পালন করবেন, কেন্দ্রের ভিতরে তারা প্রবেশ করতে পারবেন না। বুথের ভিতরের সমস্ত শৃংখলার দায়িত্ব প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং যারা পুলিং এজেন্ট থাকবেন তাদের ওপর।
তিনি সাংবাদিক, প্রার্থী ও ভোটারদেরকে নির্বাচনী নিয়মকানুন মেনে চলার আহ্বান জানান এবং বলেন, আমি আশা করি আগামী ২৫ তারিখের নির্বাচনটি অত্যন্ত সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।