1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন - Uttarkon
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা : যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার হয়– মজিবর রহমান মজনু আদমদীঘিতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঘোড়া মার্কার প্রার্থীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা বগুড়ায় সেই নারীর গলায় গুলির অস্তিত্ব পেয়েছে চিকিৎসকেরা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা : খাদ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে ট্রাক বোঝাই ধান চুরি মামলার মূলহোতাসহ গ্রেফতার-৩, ট্রাক জব্দ সারিয়াকান্দিতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা প্রচন্ড গরমে চাহিদা বেড়েছে মহাদেবপুরে তৈরি হাত পাখার মহাদেবপুরে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেত মজুর ও কৃষক ফ্রন্টের মানববন্ধন দুবাইয়ে বাংলাদেশীদের শত শত বাড়ি হলো কিভাবে

রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

  • সম্পাদনার সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩
  • ৭১ বার প্রদশিত হয়েছে

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলকে দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন আখ্যা দিয়ে আবারো তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। একই সাথে টাকা দিয়েও চাকরি না দেয়ায় সেই টাকাও ফেরতের দাবি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় (১৮ মে) রামেক হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। তবে মানববন্ধনের সময় তাদের পুলিশ ও রামেক হাসপাতালের আনসাররা বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, সকালে চাকরিচ্যুত আউটসোর্সিং এ কর্মরত কর্মচারিরা এ রামেক হাসপাতালের সামনে রাস্তায় ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়াতে গেলে প্রথমে তারা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে কোন ধরনের মানববন্ধন করা যাবে না। এসময় চাকরিচ্যুত আউটসোর্সিং এ কর্মরত সেবীরা পুলিশি বাধা অতিক্রম করে মানববন্ধনের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি ও ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল প্রায় ১০ থেকে ১৫ জনের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু বছর গড়ালেও রাসেল তাদের চাকরি দেয়নি। এমনকি যারা চাকরিতে ছিল রাসেল তাদের মধ্যে অনেককে বাদ দিয়ে পুনরায় টাকা নিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এরআগেও তারা মানববন্ধন করেছে। একই সাথে বিষয়টি সাবেক পরিচালককেও অবহিত করা হলেও পরিচালক রাসেলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযোগ করা হয়, ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল যেসব নারীদের চাকরি দেন তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ পর্যন্ত রাসেল ওই হাসপাতালের ১০ থেকে ১২জন নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে তাদের চাকরি দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকেও নিয়েছেন টাকা। ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের কু-প্রস্তাবে প্রস্তাবে রাজি হলে মেয়েদের চাকরি হয়েছে, আর তার কথা না শুনলে চাকরি হয়নি। এমন কি যারা চাকরি করছেন তাদের মধ্যেও অনেকের সাথেই ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের অনৈতিক সম্পর্ক আছে বলে চাকরি প্রাত্যাশি ও মানববন্ধনে অংশ নেয়া লাকি দাবি করেন।
লাকি বলেন, ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল আমাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েও চাকরি দিচ্ছে না। প্রতিদিন চাকরির জন্য তার কাছে আমরা ধর্না দিচ্ছি। অথচ সে টাকাও ফেরত দিচ্ছে না, চাকরিও দিচ্ছে না। তিনি বলেন, আজ মানববন্ধন চলাকালে রাজপাড়া থানা পুলিশ বাধা দেয়। একই সাথে রামেক হাসপাতালের আনসার সদস্যরাও বাধা দিয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল হয় চাকরি দিবে নয়তো টাকা ফেরত দিবে। নইলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তিনি আরো বলেন, আমরা কম বেতনে এখানে ডেইলী বেসিকের চুক্তিতে কাজ করতাম। চাকরি হারিয়ে বর্তমানে সংসার চালাতে পথে বসতে হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে রোগিদের পাশে অক্লান্ত শ্রম দিয়েছি। সেই সময় কাজ করে পুরস্কৃত না করে আমাদের চাকুরিচ্যুত করে নতুন লোক নিয়োগ দিয়েছেন। রাসেল বিভিন্ন সময়ে চাকরি দেয়ার নামে আমাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ডেইজী, সালেহা নামে ভুক্তভোগীরা জানান, এতদিন ধরে আমরা আন্দোলন করছি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাসেলের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নীরবতায় বোঝা যাচ্ছে তারাও এই কর্মকা-ের সাথে জড়িত।
উল্লেখ্য, রামেক হাপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাত, হাসপাতালের কর্মরত দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারিদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেয়া, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রামেক হাসপাতালের কর্মচারি হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ জন স্থায়ী কর্মচারি তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies