মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে ‘স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২৩’ বিষয়ে জেলার অংশীজনদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘করোনাকালীন ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে আমরা দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষা-বাণিজ্য-বিচার ব্যবস্থা চলমান রাখতে সক্ষম হয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক এবং উন্নত আয়ের উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এটি বাস্তবায়নে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে ডিজিটাল সেবার মানোন্নয়নে স্মার্ট জেলা প্রতিষ্ঠায় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ আরো বলেন, আমরা স্মার্ট জেলা ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্বল্প ও দীর্ঘ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছি। যার মূল স্তম্ভ চারটি- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। সব পেশার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নাগরিকদের বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী মানসিকতা তৈরি করে স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্যাশলেস, ট্রান্সপারেন্ট এবং অ্যাকাউন্টেবল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা প্রণয়ন করে একটি স্মার্ট ইকোনমি তৈরি করা সম্ভব হবে। সরকারের সব কার্যক্রমে পেপারলেস অফিস বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি স্মার্ট গভর্নমেন্ট তৈরি করতে হবে। স্মার্ট এগ্রিকালচার, স্মার্ট হেলথ কেয়ারসহ সব কার্যক্রম নিয়ে আমরা একটি স্মার্ট সোসাইটি গঠন করব।
উক্ত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি এই চারটি পিলারের উপর ভিত্তি করে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে , সেই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে রাজশাহী জেলাকেও একটি স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট হিসেবে গড়ে তুলতে সকল দপ্তর ও অংশীজনের ভূমিকা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক (ডিডি) শাহানা আখতার জাহান বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সাবিহা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মোঃ আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি অ্যান্ড এলআইসি) উৎপল কুমার চৌধুরী, পিপিএম।
উল্লেখ্য, পরে কর্মশালায় অংশ নেওয়া জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রধানদের নিয়ে ৫টি গ্রুপ তৈরি করে স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট বির্নিমাণে কর্মপরিকল্পনা করা হয়। অনুষ্ঠানে সরকারী দপ্তর, সুধিজন, সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।