রাতুল সরকার, রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গত বছরের ন্যায় এবারও ফলের বাগানগুলোর লিজ দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বছর আমের ফলন কম হলেও লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু লিচু পরিপক্ব হওয়ার আগেই সেগুলো পেড়ে নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এখন লিচু না পাড়লে পরে নিজের ভাগটি পাব না, তাই পেড়ে নিচ্ছি। সরেজমিনে দেখা যায়, রাবি শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনের লিচু বাগান, রাকসু ভবনের সঙ্গের লিচু বাগান ও রোকেয়া হলের পেছনের লিচু বাগানগুলোতে শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে লিচু পাড়ছেন। কেউ গাছে উঠে, আবার কেউ বাঁশের তৈরি ‘লগি’ দিয়ে লিচু পাড়ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখছি লিচু পাড়ছেন। তাদের দেখাদেখি আমরাও পাড়তে এসেছি। এখন না পাড়লে পরে আর কিছুই পাব না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গবন্ধু হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গত কয়েক দিন আগেও বঙ্গবন্ধু হলের ভেতরের গাছটিতে অনেক লিচু ছিল। কিন্তু আজ সকালে দেখি গাছের পাতা ছাড়া কিছু নেই। পরে রাগে নিজের ভাগের লিচুটি বুঝে নিতে আজ সকালে অনেক লিচু পেড়েছি।
এদিকে অপরিপক্ব লিচু পাড়াকে ব্যঙ্গ করে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থী আবার কবিতাও লিখেছেন। নাম দিয়েছেন ‘অপুষ্ট লিচু’।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, এ বছর আম-লিচু সেরকম হয়নি তাই লিজ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য তা ওপেন (খোলা) রেখেছি। ফলগুলো পরিপক্ব হলে ভালো লাগবে। কিন্তু এখন যদি আমরা তাদের বাধা দিতে যাই তাহলে তারাই বলবে, আমাদের জিনিস আমরা খাব প্রশাসন কেন বাধা দেবে? তাই লিজ দিতে গেলেও সমস্যা, না দিতে গেলেও সমস্যা।