1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার: হত্যার অভিযোগ পরিবারের - Uttarkon
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
তারেক রহমানের পক্ষে শাহজাহানপুরে কারাবন্দী পরিবারকে ঈদ উপহার সামগ্রী ও নগদঅর্থ দিলেন সাবেক এমপি লালু সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার ১৬৩৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং সংবাদপত্রে ৬ দিন ছুটি ঘোষণা বগুড়ায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, ৩ মোটর শ্রমিক নিহত মর্যাদার রজনী লাইলাতুল কদর আজ গাবতলীর রামেশ্বরপুরে যুবদল নেতা শাহিনের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল বগুড়া প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্য রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল রাজশাহীতে ৫ টাকায় পছন্দমতো ঈদের জামা ও খাবার সামগ্রী ধুনটে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি সহায়তা প্রদান

রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার: হত্যার অভিযোগ পরিবারের

  • সম্পাদনার সময় : শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩
  • ৮৩ বার প্রদশিত হয়েছে

পাবনা প্রতিনিধি : নিখোঁজের দুইদিন পর পাবনা-কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী শিলাইদহ ঘাট এলাকা থেকে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিকিমত কোম্পানির গাড়িচালক সম্রাট হোসেন (২৯) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয় বিলাসবহুল প্রাডো জিপ গাড়িটি। শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টায় তার মরদেহ উদ্ধার ও প্রাডো জিপ গাড়িটি জব্দ করা হয়। নিহত সম্রাট ঈশ্বরদী উপজেলার মধ্য অরণকোলা আলহাজ্ব ক্যাম্প এলাকার বক্কারের ছেলে।

এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সম্রাটের বন্ধু একই উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুন (৩০) কে আটক করেছে। তবে, ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নিহত সম্রাটের বন্ধু মমিন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জিয়াউর রহমান জানান, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রসাটমের নিকিমত কোম্পানীতে গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করতেন সম্রাট হোসেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত আটটার দিকে সম্রাট তার পরিবারের সদস্যদের সাথে মোবাইলে কথা বলেন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সারাদিন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার খোঁজ না পেয়ে ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়রী করেন।

শনিবার সকালে পাবনার সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট এলাকায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি গাড়ি দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাডো জিপের ভেতর থেকে সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনেরা গিয়ে মরদেহটি সম্রাটের বলে সনাক্ত করেন।

এর আগে বিভিন্ন সূত্রে ধরে পুলিশ ঈশ্বরদী উপজেলার বাঁশেরবাদা এলাকার নিখোঁজ সম্রাটের বন্ধু আব্দুল মমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার স্ত্রী সীমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।

পুলিশ ও পরিবারের ধারণা, সম্রাটের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে বন্ধু মমিন ও তার স্ত্রী সীমা মিলে সম্রাটকে হত্যা করেছেন।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাদীপুর ইউপির গ্রাম পুলিশ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ভোর বেলায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি দুইদিন ধরে একটি দামী গাড়ী শিলাইদহ নদীপাড়ে দাঁড় করানো আছে। গাড়ীটির কাছে যাওয়ার পর মানুষ পঁচা গন্ধ বুঝতে পেরে মেম্বারসহ পুলিশ প্রশাসনকে জানাই।

সাদীপুর ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, গাড়িটার অদূরে কলা বাগানে কাজ করার সময়ে একজন চাষি একটি চাবি পড়ে থাকতে দেখে আমার কাছে এগিয়ে আসেন। চাবিটি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটির হবে এমন ভেবে স্থানীয়দের সাথে করে দরজা খুলতে গিয়ে দেখি দরজা আনলক ছিল। দরজা খুলেই জুতাসহ পা দেখতে পেয়ে দরজা বন্ধ করে পুলিশে খবর দেই।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রাডো জিপ গাড়ীর মালিক আনিসুর রহমান বলেন, আমার কয়েকটি গাড়ি রূপপুর প্রকল্পে বিভিন্ন কোম্পানিতে ভাড়া দেয়া রয়েছে। তিন বছর ধরে সম্রাট আমার একটি গাড়ি চালায়। বৃহস্পতিবার রাতে ওকে ফোনে না পেয়ে খোঁজখবর শুরু করি। পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেও তার কোন সন্ধান মেলাতে না পেরে সন্দেহ হয়। শুক্রবার সারারাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়ার পর জানতে পারি আমার গাড়ীটি শিলাইদহ ঘাট সংলগ্ন পাড়ে দাঁড় করানো আছে। পরে গিয়ে জানতে পারি গাড়ীতেই ড্রাইভার সম্রাটের লাশ রয়েছে।

নিহত ড্রাইভার সম্রাটের বাবা আবু বক্কার বলেন, আমার ছেলে সম্রাট তার বন্ধু মমিন ও মমিনের স্ত্রী সীমাকে চাকুরী দিয়েছিল। ইতোমধ্যে তাদের চাকরি চলে যায়। আবারও তাদের শ্রমিক হিসেবে চাকরী পাইয়ে দেয়। আমার ছেলে নিকিমত কোম্পানীতে কয়েকটি গাড়ী ভাড়াও দিয়েছিলো। প্রতি মাসে বড় অংকের টাকা বিল তুলতো। গেল বৃহস্পতিবার বিল হয়। কৌশলে আমার ছেলেকে স্বামী স্ত্রী ডেকে নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে হত্যা করতে পারে বলে ধারনা করছি। তিনি বলেন, আমার সন্তান হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

আটক মমিনের স্ত্রী সীমা পুলিশকে জানিয়েছে, গেল বৃহস্পতিবার বিকেলে সম্রাট আমার বাসায় আসে। আমাকে বলে তার মাথা ধরেছে বলে বিছানায় শুয়ে পড়ে। আমার স্বামী মমিন ঔষধ আনতে গেলে সম্রাট আমার শরীরে হাত দেয়। আমি রাগে ও ক্ষোভে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় ও গোপানাঙ্গে আঘাত করলে সে মারা যায়। পরে আমার স্বামী বাসায় ফিরলে লাশ বস্তায় ভরে ওই গাড়ীতে তুলে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করার পর আমার স্বামী আমাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে দিয়ে শিলাইদহে গাড়ী রেখে সটকে পড়ে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, নিহত সম্রাটের পরিবার ও গাড়ীর মালিকের তথ্যের ভিত্তিতে বাঁঁশেরবাদা এলাকায় মমিনের বাসায় অভিযান চালিয়ে মমিনের স্ত্রী সীমাকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। পলাতক মমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কুষ্টিয়ায় কুমারখালি থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies