1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
বাজারে এলো ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ’, যে রোগের প্রতিষেধক - Uttarkon
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

বাজারে এলো ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ’, যে রোগের প্রতিষেধক

  • সম্পাদনার সময় : রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ১১১ বার প্রদশিত হয়েছে

বাজারে এলো ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ’। আমেরিকার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) গত মঙ্গলবার হেমজেনিক্স নামের এ ওষুধটির অনুমোদন দিয়েছে। এটি ‘হিমোফিলিয়া বি’ রোগের ওষুধ। ওষুধটির একটি ডোজের দাম ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকারও বেশি। পেনসিলভানিয়াভিত্তিক প্রস্তুতকারী সংস্থা সিএসএল বেহরিংয়ের দাবি, এককালীন এই ওষুধটি জিনগতভাবে ‘হিমোফিলিয়া বি’ রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তাই ‘বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওষুধ’ হলেও সামগ্রিকভাবে চিকিৎসার খরচ অনেকটাই কমবে।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের এক সমীক্ষা অনুসারে, এর আগে সবচেয়ে দামি ওষুধ ছিল নোভারটিস কোম্পানির জোলজেনসমা, যা স্পাইনাল মাসকুলার আত্রোফির (এসএমএ) জিন থেরাপি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আর ওষুধটির দাম ছিল ২০ লাখ ডলার বা ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকার কিছু বেশি। ফলে হেমজেনিক্সের দাম সহজেই তাকে ছাড়িয়ে গেছে।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশিরভাগ ওষুধের মতো, নতুন চিকিৎসার খরচ রোগীদের বহন করতে হবে না, বেশিরভাগ খরচ প্রদান করবে বীমাকারীরা। ব্যক্তিগত পরিকল্পনা ও সরকারী প্রকল্পগুলোও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

হিমোফিলিয়া এমন একটি রোগ, যাতে রোগীর রক্ত জমাটে সমস্যা হয়। অর্থাৎ, দেহের কোনো স্থানে রক্তপাত শুরু হলে আর রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। মানুষের দেহে ফ্যাক্টর নাইন নামের একটি বিশেষ উপাদানের ঘাটতি হলে এমন ঘটে। এতদিন পর্যন্ত রক্তের মাধ্যমে বাইরে থেকে এই প্রোটিনটি সরবরাহ করা হয়। সেই চিকিৎসাও যথেষ্ট ব্যয়বহুল। হিমোফিলিয়া বি আরো বিরল। মোট হিমোফিলিয়া রোগীর মধ্যে ১৫ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।

এফফিএ’র হিসাব মতে, প্রতি ৪০ হাজার জনের মধ্যে একজন এ রোগে আক্রান্ত হন। নারীদের থেকে পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি, নতুন এই ওষুধটি চিকিৎসাশাস্ত্রের দিক থেকে যুগান্তকারী। এই ওষুধের মাধ্যমে রোগীর লিভারে একটি বিশেষ জিন ঢুকিয়ে দেয়া হয়। আর তার পর থেকে দেহেই রক্ত জমাটকারী প্রোটিন উৎপন্ন হয়। ফলে চিকিৎসার পৌনঃপুনিক ব্যয় খুবই কমে আসে। ফলে দাম আকাশছোঁয়া হলেও ওষুধটি চিকিৎসার সামগ্রিক খরচ কমাতে এবং রোগীদের জীবন বাঁচাতে কাজে লাগাতে পারে।

এ বছরের শুরুর দিকে ইউরোপীয়ান কর্তৃপক্ষও ‘হিমোফিলিয়া এ’র জন্য এ ধরনের একটি জিন থেরাপির অনুমোদন দিয়েছে। বাইওমেরিন কোম্পানির এ ওষুধটি এখনো পর্যবেক্ষণে রেখেছে এফডিএ।

সূত্র : ব্লুমবার্গ, সিএনবিসি নিউজ, এনডিটিভি

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies