বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা ॥ বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন পুরাতন গাছগুলি এখন পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের জন্য আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগেপ্রায় ৩০ বছর আগে সীমানা প্রাচীরের ভেতরেই উক্যালপ্টাস, আম, বটসহ বিভিন্ন্ প্রজাতির বনজ ও ফলজবৃক্ষ রোপন করা হয়। সেই গাছগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে এবং গাছের ডালপালা হাসপাতালের প্রাচীর ছাপিয়েসীমানা প্রাচীরের বাইরে নির্মিত বাড়িঘরের উপর হেলে পড়েছে। পুরাতন এইসব গাছের ডালপালা বাড়ির উপর ভেঙ্গে পড়ার আশংকায় প্রায় ২০-২৫টি বাড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। হাসপাতালের পাশের বাসিন্দা আব্দুল মতিন বলেন, কয়েকদিন আগে একটি বড় বটগাছ উপড়ে পড়ায় আমরা আরো বেশী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। বটগাছের মতো অন্যান্য গাছ উপড়ে বা ডালপালা ভেঙ্গে পড়লে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হবে এবং তাতে প্রাণহানিও ঘটতে পারে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও কোন সুরাহা মিলছেনা। হাসপাতালের কর্ণধার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার রায় বলেন, হাসপাতালের ঝুঁকিপুর্ণ গাছগুলোর বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও কে অবহিত করা হয়েছে এবং গাছ কর্তনের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বনবিভাগের বিরামপুর (চরকাই) রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উপজেলা চেয়ারম্যান বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনিকট আবেদন করলে সে প্রেক্ষিতে আমরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গাছগুলোর মূল্য নির্ধারন করে দিবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন, বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারপাশের পুরাতন গাছগুলো সম্পর্কে জেনেছি এবং দেখেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে এব্যাপারে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার সাথে কথা বলেছেন। আমার নিকট আবেদন করলে সে প্রেক্ষিতে গাছগুলো কাটার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।