নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়নে কয়েক দিন ধরে ভুট্টা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জনে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। লাভজনক এই ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের সার বীজ ও কৃষি পুনর্বাসনসহ পরামর্শ সহায়তা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহী করছে; ফলে দিন দিন কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে সহ এলাকায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ভুট্টা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছে। মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগী ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এর চাহিদাও বেড়েছে অনেক বেশি। ভুট্টা গাছের পাতা সুষম গো-খাদ্য এবং কান্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, ফলে একদিকে যেমন কৃষক তার গবাদি পশু পালন ও জ্বালানি চাহিদা মেটাতে পারে অপরদিকে বাজারে ভুট্রার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষক ভুট্টা চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিশেষ করে উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে ব্যাপক ভুট্টার চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধান ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশী লাভ হওয়ায় কম খরচে অধিক মুনাফার আশায় বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। বালাপাড়া ইউনিয়নের কৃষক লিয়াকত আলী টেপাখড়িবাড়ি শাহেদ আলী জানান, ভুট্টা চাষে জমিতে পানি সেচ কম লাগে এবং ফলনও বেশী হওয়ায় তিনি অন্য আবাদের চেয়ে ভুট্টার আবাদে বেশি আগ্রহী। পূব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল লতিফ খান বলেন, আগে ভুট্টা চাষের প্রতি কৃষকের তেমন আগ্রহ ছিলো না। কিন্তুু বর্তমানে ভুট্টা আবাদ করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে দেখে উৎসাহী হয়ে এ আবাদের দিকে বেশি ঝুঁকছে অধিকাংশ কৃষক। আমিও সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন ডিমলা উপজেলাজুড়ে এবার ১৩ হাজার ১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টাচাষ হয়েছে। বিশেষ করে নদীর চরগুলোতে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।এর ফলে আগাম ভুট্টা কর্তন চলছে।