1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের আগে লাঠি দিয়ে পেটানো হয় আজগারকে, অভিযুক্ত গ্রেফতার - Uttarkon
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত : মির্জা ফখরুল ‘মেয়েদের ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে : রিজভী লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না : কাদের রাজশাহী মহানগরীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে “মিজু গ্যাঁং” এর মূলহোতাসহ ১১ জন গ্রেফতার রাজশাহীতে ভবন নির্মাণে টাকা দিলেই মিলছে ফায়ার সনদ রাজশাহীতে দোকান কর্মচারিকে কুপিয়ে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদন্ড চারঘাট বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারী মোঃ তামিম গ্রেফতার টিএমএসএস বিনোদন জগতের বৈশাখী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত নওগাঁয় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে নিখোঁজের আগে লাঠি দিয়ে পেটানো হয় আজগারকে, অভিযুক্ত গ্রেফতার

  • সম্পাদনার সময় : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ৮৭ বার প্রদশিত হয়েছে

কুড়িগ্রাম।। ধরলার চরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে গিয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর আজগার আলী (৬০) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলমাস (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩ এপ্রিল) নিহত আজগার আলীর বড় ছেলে আজিজল হক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নান আরা রবিবার ধরলা অববাহিকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গ্রেফতার আলমাস সদরের উত্তর ভেলাকোপার তোরাব আলীর ছেলে। আজগার আলী নিখোঁজের আগে গরু জমির ধান খাওয়া নিয়ে বিবাদে আলমাস লাঠি দিয়ে আজগারকে পিটিয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী, এজাহার ও আলমাসের ‘স্বীকারোক্তির’ বরাতে জানিয়েছে পুলিশ। আজগার আলীর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নওয়াবশ গ্রামে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে ধরলার চরে নিজের গরু নিয়ে ঘাস খাওয়াতে যান আজগার আলী। সেদিন সন্ধ্যার আগে তার গরুগুলো চেনাপথ ধরে নদী পার হয়ে বাড়িতে ফিরলেও আজগার ফেরেননি। শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ দল অনুসন্ধান চালালেও তার খোঁজ মেলেনি। পরে শনিবার সকালে ধরলা অববাহিকার উত্তর কদমতলা এলাকায় ধরলা নদীতে আজগারের মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এদিকে মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আজগার আলী ধরলার চরে গরু নিয়ে গেলে সেখানে তার গরু আলমাসের জমির ধান খায়। এ নিয়ে আলমাস ঘটনাস্থলে গিয়ে আজগারকে একটি লাঠি দিয়ে দুই তিনটি আঘাত করে। পরে উভয়ে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। কিন্তু গরুগুলো নদী পার হয়ে বাড়িতে ফিরলেও আজগার নিখোঁজ হন। নিহতের বড় ছেলে আজিজল হক জানান, তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নদী পার হওয়ার সময় সংজ্ঞা হারিয়ে নদীতে পড়ে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি বলেন, ‘বাবার নিয়ে যাওয়া গরু আলমাসদের জমির ধান খাওয়ায় আলমাস লাঠি দিয়ে বাবাকে আঘাত করেছিল। বয়স্ক মানুষ হওয়ায় তিনি সেটা সহ্য করতে পারেননি। এটি হত্যাকাণ্ড। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি।’ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আবু সাঈদ বাবলা জানান, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি আলমাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আজগারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পর তাকে মারার কথা স্বীকার করেছে।’ বাবলা বলেন, ‘বিবাদের পর দুই জনই নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল বলে জানিয়েছে আলমাস। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনাতেও এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আঘাতের কারণে, নাকি নদীতে ডুবে আজগারের মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে স্পষ্ট হবে।’ ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘ভুক্তভোগীর ছেলের এজাহারের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। মূল আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies