টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে গত বুধবার ঠেঙ্গামারা বগুড়ায় ডাঃ মাসুদুর রহমান হলে ডায়াবেটিক এবং রমজান উপলক্ষে সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস’র উপ-নির্বাহী পরিচালক ডাঃ মোঃ মতিউর রহমান, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহজাহান আলী সরকার, টিএমএসএস গ্র্যান্ড হেল্থ সেক্টরের চিকিৎসা শিক্ষা ডোমেইন-১ প্রধান অধ্যাপক ডাঃ অনুপ রহমান চৌধুরী, টিএমএসএস ডায়াবেটিস কেয়ার সার্ভিসের পরিচালক ডাঃ মোঃ মোস্তফা কামাল, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেড জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ জামিলুর রহমান, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আজিজুর রহমান, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মাহবুবুল আলম সিদ্দিক এবং সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমূখ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগীতা করেন মেডিসিন বিভাগের ডাঃ আহমেদ আল মোনতাসির। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, ইন্টার্ণ চিকিৎসকসহ টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল ছাত্র/ছাত্রীগণ। সেমিনারে বক্তারা বলেন পবিত্র রমজান মাসে একজন ডায়াবেটিক রোগীর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, জীবনাচরণ ও ঔষধের নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে। এক মাসের জন্য এই নতুন ধরনের জীবনাচরণ পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাঁদের কিছু নিয়মকানুন পালন করতে হবে। কিছুসংখ্যক জটিল রোগী বাদে অধিকাংশ ডায়াবেটিক রোগী বড় ধরনের কোনো সমস্যা ছাড়াই রোজা পালন করতে পারেন। বয়স্ক রোগী ও অন্তঃসত্ত্বা ডায়াবেটিক রোগী যাঁরা ইনসুলিন গ্রহণ করেন তাদের রোজা পালন না করাই ভালো। লক্ষ রাখতে হবে যে রমজান মাসের দৈনিক ক্যালরি চাহিদা একই রকম থাকবে, কেবল সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে। অন্য সময়ের মতোই চিনি বা চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া নিষেধ। জটিল শর্করা যেমন: লাল চালের ভাত, রুটি, ওটস, কর্নফ্লেক্স খাওয়া ভালো। যথেষ্ট পরিমাণে শাকসবজি, তাজা ফলমূল খেতে হবে। ইফতারে অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া ও তেলযুক্ত উচ্চ ক্যালরি খাবার পরিহার করা উচিত।