পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার সর্বোপরি জনগণের ক্ষতি করতে বিএনপি-জামায়াত বিদেশে আটটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার এসব অপপ্রচার বন্ধে সত্য তথ্য তুলে ধরে দেশের ভাবমূর্তি ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পিআর ফার্মকে দায়িত্ব দিয়েছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেয়া এক বিবৃতিতে ড. মোমেন এ তথ্য জানান। বিএনপি-জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে আইসিটি অ্যাক্টের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর জন্য দেড় লাখ ইউএস ডলার ব্যয়ে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল। এর পর মার্কিন কংগ্রেসে আইসিটি অ্যাক্ট বিরোধী প্রচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করে তা বন্ধ করতে ৫০ হাজার ডলার ব্যয়ে আরো একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেয় জামায়াত। এ ছাড়া একই বিষয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ডলার ব্যয়ে পিস অ্যান্ড জাস্টিজ নামের সংগঠনকে নিয়োগ দেয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ বৈধ। সরকার বা রাজনৈতিক দল নয় ব্যবসায়িক গ্রুপ বা সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়ে থাকে। এগুলো অনেকদিন ধরে আছে। এগুলো নতুন নয়। এরশাদের সময় থেকে এগুলো প্রচলিত আছে। ফলে এটা দোষের নয়, দোষ হলো এর মাধ্যমে দেশ জনগণ সরকার বিরোধী প্রচারণার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র চালানো।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিমার ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি এ প্রেক্ষিতে উল্লেখ করে বলেন, এর সাথে সেখানে জড়িতদের সাজা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সুশাসন এবং দেশের ইতিবাচক ইমেজ তুলে ধরার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এখন দেশের স্বার্থে পিআর ফার্মের নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ক্ষতি করার জন্য কাউকে নিয়োগ করা হলে দেশবাসী কখনোই তা মেনে নেবে না।’ তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাফল্য জানান দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ উইং তৈরি করেছে। তার নাম দিয়েছি ‘পাবলিক ডিপ্লোমেসি’। আমি এবং আমাদের সরকার ইয়ং জেনারেশনের চাকরির সংস্থান চাই, বিনিয়োগ চাই, রফতানি বাড়াতে চাই। আমরা প্রবাসী ও বিদেশীদের ভালো সার্ভিস দিতে চাই। ‘বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি’ এই ব্র্যান্ডিং থেকে বের হতে চাই।”