ক্রসফায়ারের পেছনে যথাযথ কারণ আছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আমাদের সিস্টেমে কেউ ইচ্ছা করলেই ক্রসফায়ার বা গুলি করতে পারে না। ক্রসফায়ারের পেছনে যথাযথ কারণ আছে। এসব ঘটনা শুধু বাংলাদেশে না, পৃথিবীর সব দেশে চলছে এবং চালু আছে।’ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব ) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। শনিবার রাজধানীর ওয়াসা ভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কী কারণে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেই প্রতিবেদন আমার টেবিলে এখনও আসেনি। সেটা আমাকে দেখতে হবে তারা কেন, কীভাবে, কী কারণে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আমরা আমাদের অবস্থান জানাব। তবে আমাদের সিস্টেম কিন্তু অনেক সুন্দর সিস্টেম। আমাদের এখানে কেউ ইচ্ছা করলেই ক্রসফায়ার বা গুলি করতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি, এই নিষেধাজ্ঞা যে কারণে দিয়েছে, সেই কারণগুলোর যতগুলো ঘটনাই আমাদের দেশে ঘটেছে, সব কটির একটা জুডিশিয়াল তদন্ত হয়। একজন ম্যাজিস্ট্রেট সেটা চেক করেন, যে অ্যাকসিডেন্ট হলো, এই অ্যাকসিডেন্টের পেছনে কারণগুলো যথাযথ ছিল, নাকি গাফিলতি ছিল। আমরা যেখানে কোনো গাফিলতি পাই, সেখানে কিন্তু তার বিরুদ্ধে মামলা চালু থাকে। আর গাফিলতি না থাকলে সেখানেই ক্লোজড হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা যখন আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে তখন নিরাপত্তা বাহিনী তাদের নিরাপত্তার জন্য অনেক সময় গুলি করে থাকে। সেটা তার জন্য বৈধ ছিল, যুক্তিসঙ্গত ছিল, নাকি যুক্তিসঙ্গত ছিল না, সেটা কিন্তু তদন্ত হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটা ঘটনা ঘটেছিল। একটি ছেলে ছাদের ওপরে দাঁড়িয়ে টিস্যু বের করতে পকেটে হাত দিয়েছিল। ঠিক তখনই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ধরনের ঘটনা তো সেখানেও ঘটেছে। এর আগের দিন শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যার ) এবং এর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং সাবেক মহাপরিচালক, বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ রয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম।