বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম কমেছে অন্তত ৩.২০ শতাংশ। মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন লেখার সময় অয়েলপ্রাইজ ডটকমের তথ্যানুযায়ী, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২.৩৯ ডলার কমে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৭১.০৫ ডলারে। কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই তেলের দামও। মঙ্গলবার এর দাম ২.৯২ শতাংশ অর্থাৎ ২.০৪ ডলার কমে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৬৭.৯১ ডলারে। এছাড়া হিটিং অয়েলের দাম কমেছে অন্তত ১.৬৮ শতাংশ বা ০.০৩৬ ডলার। মূলত কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণেই বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারের এমন নিম্নমুখী অবস্থা। এই আতঙ্ক এরইমধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। দেশগুলো আবারো নানা নিষেধাজ্ঞা ও কড়াকড়ি আরোপ করতে শুরু করেছে। ২০২২ সালের প্রথমাংশে যে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের আশা করা হচ্ছিল তা এখন হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে তেলের চাহিদাও হ্রাস পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ থেকেই মূলত বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে গেছে। এর আগে ওমিক্রন আতঙ্কে গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছিল ব্যারেলপ্রতি প্রায় ১০ মার্কিন ডলার। মঙ্গলবারও দেখা গেছে সামান্য হলেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। শুধু তেলের বাজারই নয়, ওমিক্রন আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারেও। মঙ্গলবার এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা প্রায় সবখানেই সূচক ছিল নিম্নমুখী। শেয়ারের দর হারানোয় সবার ওপরে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি। মঙ্গলবার এর সূচক পড়ে গেছে অন্তত ২ দশমিক ৪ শতাংশ। জাপানের নিক্কেই ২২৫’র সূচক নেমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ, একই অবস্থা হংকংয়ের হ্যাং সেং ইনডেক্সেরও। তবে সাংহাই কম্পোজিটের অবস্থা স্থিতিশীল দেখা গেছে।