লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ হঠাৎ বন্যায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই উপজেলার গডিমারী ইউনিয়নের অধিকাংশ কাঁচা-পাকা সড়ক ভেঙ্গে গেছে। অধিকাংশ জমির ফসল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। জানা গেছে, এ বন্যায় ক্ষতির পরিমান ২ শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। কৃষি বিভাগ বলছে, বন্যায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এলজিইডি বলছে, ৯০ কিলোমিটার পাকা রাস্তাসহ বেশ কয়েকটি সেতু নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমান ৩৫ কোটি টাকা। পানি উন্নয়নের বোর্ডের দাবি, এ বন্যায় তাদের ক্ষতির পরিমান ২০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সড়েজমিনে দেখা গেছে, হাজার হাজার হেক্টর জমির পাকা আমন ধান, আলু, ভুট্টা ও পিয়াজ ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার চর গড্ডিমারী গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ৬ বিঘা জমির পাকা ধান ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ছোট ভাইয়ের ১১ বিঘা জমির ভুট্টা ও আলু নষ্ট হয়ে গেছে। পাশের বাড়ির একজনের ২৩ বস্তা সার বন্যার পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকার কাচা-পাকা সড়কগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে তিস্তা তীরবর্তী স্থানীয়রা। হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, এ বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে তার পুরণ করা সম্ভব নয়। তারপরও কৃষকের ক্ষয় ক্ষতি নির্ধারণ করতে ইতোমধ্যে জরিপ শুরু হয়েছে। তাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করবে কৃষি বিভাগ এদিকে কৃষকদের পুর্ণবাসনের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর। তিনি বলছেন, ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্ণবাসনে ইতোমধ্যে ক্ষয় ক্ষতির তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।