1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
পৃষ্ঠপোষকতা অভাবে লোকক্রীড়া বিলুপ্তি’র পথে বগুড়ার গাবতলীতে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ খেলাধুলা - Uttarkon
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
তারেক রহমানের পক্ষে শাহজাহানপুরে কারাবন্দী পরিবারকে ঈদ উপহার সামগ্রী ও নগদঅর্থ দিলেন সাবেক এমপি লালু সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার ১৬৩৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং সংবাদপত্রে ৬ দিন ছুটি ঘোষণা বগুড়ায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, ৩ মোটর শ্রমিক নিহত মর্যাদার রজনী লাইলাতুল কদর আজ গাবতলীর রামেশ্বরপুরে যুবদল নেতা শাহিনের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল বগুড়া প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্য রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল রাজশাহীতে ৫ টাকায় পছন্দমতো ঈদের জামা ও খাবার সামগ্রী ধুনটে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি সহায়তা প্রদান

পৃষ্ঠপোষকতা অভাবে লোকক্রীড়া বিলুপ্তি’র পথে বগুড়ার গাবতলীতে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ খেলাধুলা

  • সম্পাদনার সময় : বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৩৬১ বার প্রদশিত হয়েছে
VLUU L100, M100 / Samsung L100, M100

গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলীতে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা অভাবে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী লোকক্রীড়া ‘গ্রামীন খেলাধুলা’ আজ বিলুপ্তির পথে। ফলে ঝিমিয়ে পড়ছে উপজেলার ক্রীড়াঙ্গন। উপজেলার কাগইল, সোনারায়, দক্ষিনপাড়া, নেপালতলী, রামেশ্বরপুর, দূর্গাহাটা, গাবতলী সদর, মহিষাবান, নশিপুর, নাড়–য়ামালা ও বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের গ্রামের মাঠে লোকক্রীড়া’র জোয়ারে পল্লীবাসী আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকত। প্রাণবন্ত হয়ে উঠত গ্রামের হতাশা কষ্টে থাকা মানুষের মন। সেই পল্লী এলাকার মাঝির গান, জারিগান, রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত, বাউল, পথ ও মঞ্চ নাটক’সহ বাঁশির সুর আর লাজনম্র বধুঁ’র হাসি এখন আর কারও দৃষ্টি কাড়ে না। দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত বউছি, কানামাছি, লাঠি খেলা, নৌকা বাইচ, পুতুল নাচ, চেয়ার দখল, বিস্কুট খাওয়া, দৌড়, লুড়–খেলা, ব্যাঙ্গ ও মোরগ লড়াই, পাতা খেলা, বর্ষা-লোহবল নিক্ষেপ, উচ্চ ও দূীর্ঘলম্প, হা-ডু-ডু, কাবাডি, গ্যাদন, দাঁড়িয়াবাঁধা, বুড়ি-কু, গোল্লাছুট, ঢালী খেলা’সহ দেশের ঐতিহ্যে লালিত লোক ক্রীড়াকে বাঁচিয়ে রাখার মত কোন পৃষ্ঠপোষকতা আর নেই। তাই পল্লীবাসী আজ নীরব-নিথর রয়েছে। ভাড়া করা পপসংগীত আর ডিসকো নাচের ফলে বিলুপ্ত হতে চলেছে জারি-সারি, ভাবকবি পল্লীগীতি ও মারফতি’সহ ভাটিয়ালী গান। তেমনি হকি, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন আর ফুটবলের উচ্ছল বন্যায় ভেসে যাচ্ছে গাবতলী তথা বাঙ্গালী জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য। গ্রামবাসীর নিকট সেই লোক ক্রীড়া আজ শুধু অতীত স্মৃতি হিসেবে চি‎িহ্নত হতে চলেছে। এমন এক সময় ছিল যখন বগুড়া জেলা’সহ গাবতলীর গ্রাম্যঞ্চলে লোকক্রীড়া জনপ্রিয় ছিল। এক অনাবিল আনন্দ উল্লাসে জনজীবন হয়ে উঠত প্রাণবন্ত। যে সব দল খেলায় অংশগ্রহণ করত সে সকল দল বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা’য় বাদকদল নিয়ে ঢাক-ঢোল বাঁশি বাজিয়ে মাঠে প্রবেশ করত। উৎসুক দর্শনার্থীদের কলরবে ভরে উঠত মাঠ ঘাট আর পথ প্রন্তর। ঐসব দিনগুলো আর হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা এখন ইতিহাস হয়ে রয়েছে। ধরে রাখার মত নেই কোন পৃষ্ঠপোষকতা। ফলে উপজেলায় গ্রামীন খেলাধুলা এখন কম চোখে পড়ছে। সরকারী-বেসরকারী স্কুল কলেজে খেলার মাঠ থাকলেও নিয়মিত খেলাধুলার অনুশীলন না থাকায় অনেক মাঠ এখন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম কম থাকায় গ্রামীন খেলাধুলা কমে যাচ্ছে। মাঠগুলো সংষ্কারের অভাবে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে গ্রামীন খেলাধুলা করে উপজেলার অনেক কৃতি খেলোয়ার গৌরব অর্জন করেছিল। শুধু তাই নয় সে সময়ে উপজেলার বিভিন্ন স্পোর্টিং ক্লাব ও খেলোয়ার কল্যান সমিতি’র উদ্যোগে লাঠি খেলা, হা-ডু-ডু ও পাতা খেলা’সহ ঘোড়া দৌড় খেলা আয়োজন করা হতো। জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়ারা সে সব খেলায় অংশগ্রহন করতেন। স্থানীয় দর্শকদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ক্রীড়াদর্শক সেসব খেলা দেখতে গাবতলী এলাকায় ছুটে আসতেন। কিন্তু সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সে সব ক্লাব, সমিতি ও সংস্থার কার্যক্রম কমে যাওয়ায় উপজেলার ক্রীড়াঙ্গন দিনদিন ঝিমিয়ে পড়ছে। গ্রামীণ খেলাধুলা বিষয়ে কাগইল ফুটবল একাডেমি সভাপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী টাবলু জানান, গ্রামীন খেলাধুলা সকল শ্রেণী পেশার মানুষ’কে উৎসাহ যোগায়। কিন্তু বর্তমানে গ্রামীন খেলাধুলা দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকারী ক্রীড়া সংস্থা’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা নামে একটি অফিস রয়েছে যার সভাপতি (পদাধিকার বলে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ¯েপ্রার্স বাংলাদেশ গাবতলী (কাগইল বন্দর) ইউনিট সভাপতি কেষুরী দত্ত জানান, দূীর্ঘদিন যাবত আমরা গ্রামীণ খেলাধুলার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছি। এখন আরো গতিশীলতা ফিরে আনতে চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পর্যবেক্ষক মহলের দাবী অচিরেই উপজেলা ক্রীড়ানুরাগীদের সমন্বয়ে একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করে অন্যান্য খেলাধুলার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী লোক ক্রীড়া ও গ্রামীণ খেলাধুলা পুণরুজ্জীবিত করতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে অতীত ঐতিহ্যে’কে। সৃষ্টি করতে হবে গ্রামের দরিদ্র ও হতাশা কষ্টের মানুষের মনে আনন্দ উল্লাসে ভরা সুন্দর মানসিকতা’কে। আরও প্রানবন্ত হয়ে উঠবে বাংলার মাঠ প্রান্তর।
গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা’র সভাপতি মোছাঃ রওনক জাহান জানান, গাবতলী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সবসময় গ্রামীন খেলাধুলার বিষয়ে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে আসছে। গ্রামীন খেলাধুলার প্রসার ও পুণরুজ্জীবিত করতে ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। আশাকরছি বিলুপ্ত হওয়া খেলাধুলা আবারোও ফিরে আসবে।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা’র সাধারন সম্পাদক মোমিনুল হক শিলু জানান, গ্রামীন অনেক খেলা এখন কম চোখে পড়ে। তবে গ্রামীন খেলা মানুষকে আনন্দ দিয়ে থাকে। হারিয়ে যাওয়া ‘গ্রামীন খেলা’ গুলো ফিরিয়ে আনতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিলুপ্ত হওয়া গ্রামীন খেলা পুণরুজ্জীবিত বিষয়ে ক্রীড়া সংস্থা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies