1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম, দিশেহারা সাধারণ মানুষ - Uttarkon
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১:১৬ অপরাহ্ন

বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

  • সম্পাদনার সময় : শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৭৪ বার প্রদশিত হয়েছে

ঢাকা : বাজারে সব জিনিসের দামই তো বাড়ছে। আগের চেয়ে তেল-ডাল-আটার দাম বেশি। এক কেজি চাল কিনতেই ৫০ টাকার বেশি লাগে। এখন কামাই কম। কিন্তু বাজার করতে খরচ বেশি হচ্ছে।

রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় ভ্যানগাড়িতে পোশাক বিক্রি করে সংসার চালান শাজাহান। করোনায় তার আয় কমিয়ে দিয়েছে। ঋণ করতে হয়েছে। এর মধ্যে নিত্যপণ্যের বাজারে প্রায় সব জিনিসের বাড়তি দাম তাকে বেকায়দায় ফেলেছে।

আক্ষেপ করে শাজাহান আরো বলেন, গরিব মানুষের জীবন তো কষ্টেরই। আমাদের কষ্ট আর কে দেখবে?

করোনাকালে চাল, আটা-ময়দা, সয়াবিন তেল, চিনি, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দফায় দফায় বেড়েছে। এতে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে দরিদ্র মানুষের জন্য নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা ও কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাজারে গত দুই সপ্তাহে স্বর্ণা ও বিআর-২৮ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা। এ ধরনের চালের দাম প্রতি কেজি ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। মসুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আটার কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা এবং চিনি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মাঝারি মানের চাল (মিনিকেট) ৪৪ থেকে ৫০ টাকায় ছিল, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। অর্থাৎ দাম বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। ৫২ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া নাজিরশাইল চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। এ মানের চালের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। খোলা আটা ও ময়দার কেজিতে বেড়েছে ১০ শতাংশ। প্যাকেটজাত আটার কেজিতে ১১ থেকে ১৮ শতাংশ দাম বেড়েছে।

সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সয়াবিন তেলের। এক বছরে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটারে ৫৪ শতাংশ, খোলা পাম অয়েলে ৭০ শতাংশ এবং সুপার পাম অয়েলে ৬৪ শতাংশ দাম বেড়েছে। এ ছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৪২ শতাংশ। এ ছাড়া চিনির দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ। এক বছর আগে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হওয়া চিনির কেজি এখন ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা। মসুর ডালের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ। সংস্থাটির তথ্যে দেখা গেছে, ১৮ থেকে ১৯টি পণ্যের দাম বেড়েছে এবং কমেছে ছয় থেকে সাতটি পণ্যের দাম।

তবে টিসিবির দেওয়া দামের চেয়েও দুই থেকে তিন টাকা বেশি দামে চাল, ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে খোলা সয়াবিন এবং দুই থেকে পাঁচ টাকা বেশি দামে খোলা চিনি বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন বেশিরভাগ সবজির দাম ৫০ টাকার ওপরে।

ভাষাণটেক এলাকার মুদি দোকানদার আনোয়ার মিয়া বলেন, পাইকাররা প্রায় সব জিনিসেরই দাম বাড়িয়েছে। এখন আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে দাম না বাড়িয়ে তো উপায় নাই। পাইকাররা দাম বাড়ালে খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়ে।

পাইকারিতে কেন দাম বেড়েছে প্রসঙ্গে আনোয়ার মিয়া জানান, পাইকারিতে কেন বেড়েছে সেটা তার জানা নেই।

বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম গণমাধ্যমকে বলেছেন, পাইকাররা ভোজ্যতেল ও চিনি কেনেন আমদানিকারকদের কাছ থেকে। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সে কারণে তেল-চিনির দাম বাড়িয়েছেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright © 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies