পঞ্চগড় প্রতিনিধি: দেশের একমাত্র চতুর্দেশিয় স্থল বন্দর বাংলাবান্ধায় ভারতীয় একটি ট্রাকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুণে ট্রাক, আমদানিকৃত চাল ও ট্রাক চালক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রবিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ভেতরে একটি ইয়ার্ডে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। জগবন্ধু রায় নামে ভারতীয় ওই ট্রাক চালককে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তার বাড়ি ভারতের দার্জিলিং জেলার ঢুপগুড়ি এলাকায়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৩৪ মেট্রিক টন চালসহ ভারতীয় ওই ট্রাকটি আনলোডের অপেক্ষায় স্থলবন্দরে আটকে ছিল। তীব্র তাপদাহে দুপুরে ট্রাকের ইঞ্জিনের ভেতরেই রান্না করার জন্য কেরোসিনের স্টোভে ম্যাচের কাঠিতে আগুন জ্বালাচ্ছিল ওই ড্রাইভার। এসময় ম্যাচের কাঠি ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায়। এতে ট্রাকের কেবিনের ভেতরে আগুন লেগে যায়। আকষ্মিক ট্রাকে আগুন লাগায় স্থলবন্দরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ট্রাক ড্রাইভার অগ্নিদগ্ধ হয়। ট্রাকের ইঞ্জিন ভস্মীভূত হয়ে যায়। পরে ট্রাকের ওপরে থাকা চালের বস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে প্রায় ২০টি চালের বস্তা আংশিক পুড়ে যায়। ট্রাকের ইঞ্জিন থেকে কোনরকমে বের হয়ে আসা ট্রাক চালককে তাৎক্ষণিক ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্দরের লোকজদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চাল আমদানিকারক মেসার্স পুলক এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ পুলক জানান, সিএন্ডএফ এজেন্ট সিলেক্টেড ট্রেডার্সের হাফিজুর রহমানের মাধ্যমে এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছি। ৩৪ মেট্রিক টনের ৩টি ভারতীয় গাড়িতে করে এসব চাল আনা হয়। গত বুধবার দুটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এসে পৌছায়। অপর একটি ট্রাক না আসায় ওই দুটি ট্রাকের চাল আনলোড করা হয়নি। আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট ট্রাক থেকে চাল আনলোড করতে চাইলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেড কর্তৃপক্ষ অপর ট্রাক না আসা পর্যন্ত ট্রাক থেকে চাল আনলোড করতে দেননি। তীব্র গরমে দুপুরে আকষ্মিক ট্রাকে আগুন লেগে যায়। স্থলবন্দরের অবহেলা অব্যবস্থাপনায় এবং তাদের ভুলে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রাকগুলো আনলোড করা হলে এমন ঘটনা ঘটত না। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ভুলে এখন সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল।
বন্দর ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পণ্যবাহী ট্রাকে সর্টসার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। বন্দরের শ্রমিকসহ অন্যান্য গাড়ির চালক-হেল্পারদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ক্ষতির মধ্যে গাড়িটির সম্মুখভাগ পুড়ে গেছে কিন্তু গাড়িতে থাকা ৩৩ টন চাউল রক্ষা করা গেছে।