ব্রাজিল প্রশাসনের উদাসিনতার ফল ভোগ করতে হতে পারে নেইমারদের। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে ব্রাজিলে যাওয়া আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার কোভিড বিধি ভেঙে ইংল্যান্ড থেকে দলের সাথে যোগ দিয়েছিলেন। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। করোনাভাইরাস নিয়ে বিতর্কের জেরে ম্যাচ শুরুর ৭ মিনিটের মধ্যেই থমকে গেল ২০২২ সালের বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ। ব্রাজিলের নিয়মানুসারে কোভিডের লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলো থেকে যারা সে দেশে যাবেন তাদের ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে। ইংল্যান্ড সেই লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ব্রাজিল প্রশাসনের অভিযোগ, চার ফুটবলার অভিবাসন দফতরে মিথ্যে তথ্য দিয়েছিলেন।
তবুও প্রশ্ন উঠেছে ব্রাজিলের প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে। অভিযুক্ত এমি মার্টিনেজ, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, গিওভানি লো কেলসো এমি বুয়েনডিয়ার কী করে ব্রাজিলে ঢুকে দলের সাথে তিন দিন অনুশীলন করলেন? ব্রাজিল প্রশাসনের গোটা ব্যাপারটা নজরে এলো ম্যাচ শুরুর সাত মিনিটের মাথায়। এত দিন তারা কী করছিলেন? অবস্থা এমনই হল যে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর তা থামিয়ে দিতে হলো।
দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা কনমেবল-এর নিয়মের ৭৪ নম্বর ধারায় উল্লেখ করা আছে, ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে ফুটবলারদের ম্যাচ খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া যাবে না। ম্যাচ সংক্রান্ত কোনো ঝামেলা থাকলে তা মেটাতে হবে ম্যাচের আগেই। এরকম কোনো ঘটনা ঘটলে যে দলের কারণে ম্যাচ স্থগিত হয়েছে তাদের থেকে তিন পয়েন্ট কেটে নেয়া হবে। প্রতিপক্ষ পাবে সেই তিন পয়েন্ট।
সেদিক থেকে দেখতে গেলে তিন পয়েন্ট পেতে পারেন লিওনেল মেসিরা। কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেয়ার যে সুযোগ ছিল নেইমারদের সামনে, তা তো তারা হারালেনই তার সাথে ম্যাচ না খেলেই পয়েন্ট তুলে দিতে হবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে।
তবে সবটাই নির্ভর করছে ফিফার সিদ্ধান্তের ওপর।