সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসাপাহাড়ী ঢল ও প্রবল বর্ষণে সারিয়াকান্দির নিকট যমুনা নদীর পানি অব্যাহতবৃদ্ধিতে বুধবার বিকেল ৩টায় বিপদ সীমার ৬৫সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় ।পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সারিয়াকান্দিতে সার্বিকবন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন বন্যা নিয়ন্ত্রণবাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে । বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ জন নানাদুর্ভোগ পোহাচ্ছে । বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বিভিন্ন স্থানে পানি সিপেছ হওয়ায়বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে । স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডঠিকাদারের মাধ্যমে বাঁশের পাইলিং এবং বালির বস্তা ফেলে জরুরী প্রতিরক্ষামূলক কাজকরছে । পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়াজানান, সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে বুধবার বিকেল ৩টা থেকেবৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৯ সেঃমিঃ বৃদ্ধিপেয়ে বিপদ সীমার ৬৫সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় । ৯০০ মিটার রৌহাদহগ্রোয়েন বাঁধের বেশির ভাগ অংশ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ মেইন বাঁধের বেশ কয়েকটিস্থান দিয়ে পানি সিপেছ হওয়ায় বাঁশের পাইলিং এবং বালির বস্তা ফেলে জরুরীপ্রতিরক্ষামূলক কাজ করা হচ্ছে । উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম জানান, রোপাআমন ১৩৫হেক্টর, বীজতলা ১২হেক্টর, সবজি ১০হেক্টর,মাসকালাই ২০হেক্টর সহ ১৭৭ হেক্টরজমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে । উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সারিয়াকান্দি সদর, হাটশেরপুর,কাজলা, চালুয়াবাড়ি, কর্ণিবাড়ী , বোহাইল, কুতুবপুর,চন্দনবাইশা ও কামালপুর এ৯টি ইউনিয়নের ৬৮টি গ্রামের ৫০হাজার ৮শ মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে । বন্যাদূর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে এবং বিতরণ অব্যাহত আছে ।