বিএনপির ডাকা তৃতীয় দফার দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি শেষ দিনে বগুড়া-ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ছিলো বিএনপি দখলে। সকাল থেকে মাটিডালি বিমান মোড় এলাকা ও আরেকটি অংশ শহরের লিচুতলা দ্বিতীয় বাইপাস মোড়ে বিএনপির কয়েক’শ নেতাকর্মী মহাসড়ক অবরোধ করে মহাসড়কের বনানী, সাবগ্রাম, বাঘোপাড়া, চারমাথা, তিনমাথাসহ বিভিন্নস্থানে অবস্থান নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী মিছিল করেছে। সকাল থেকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের লিচুতলা দ্বিতীয় বাইপাস এলাকায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু নেতৃত্বে কয়েকশত নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে মিছিল করে। এসময় বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবু হাসান, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান , শহর যুবদলের আহ্বায়ক আহসান হাবিব মমি উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভা মেয়র রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে বগুড়া মাটিডালি বিমান মোড় এলাকা অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশ ও মিছিল করে। এসময় বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির,কাহালু- নন্দীগ্রাম আসনের সাবেক এম পি জেলা বিএনপির সিঃ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক , কে.এম খায়রুল বাশার, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির শাহ মো: মেহেদী হাসান হিমু, জেলা যুবদলের যুগ্ম- আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম শুভ উপস্থিত ছিলেন। মহাসড়কে ভারী যানবাহন নেই। পুলিশ পাহারায় পণ্যবাহী কিছু ট্রাক চলাচল করলেও দূর পাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে। তবে ট্রেন চলাচল করছে। বগুড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালগুলোতে থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। শুধু দূরপাল্লাই নয়, জেলা ও আন্তঃজেলা বাস মিনিবাসও চলনি।
এদিকে বুধবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের নাগরকান্দি এবং ১০টার দিকে সদরের মানিকচক বাজার এলাকায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ট্রাকে আগুনে দিয়েছে দুর্বৃত্তর । পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নাগরকান্দি এলাকায় অগ্নিসংযোগের শিকার ট্রাকচালক মিজানুর রহমান বলেন, লালমনিরহাট থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বগুড়ার নাগরকান্দি এলাকায় পৌঁছলে ১০০ থেকে ১৫০ লোক লাঠি হাতে কয়েকটি ট্রাক থামায়। এরপর দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং আমার মালবাহী (জাহাজের ভাঙারি) ট্রাক ভাঙচুর করা শুরু করে। পুরোপুরি গাড়ি থামলে পেট্রোল ঢেলে ট্রাকে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।’
অন্যদিকে, বগুড়া শহর দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের মানিকচক বাজার এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানিকচক বাজারে একটি খালি ট্রাক আলু বোঝাই করার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। রাত ১০টার দিকে দু’টি মোটরসাইকেল থেকে ট্রাকের উপর পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে। এতে ট্রাকে আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘রাতের আধারে দু’টি ট্রাকে আগুন দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।