গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়া গাবতলীর পল্লীত ৩৯টি ককটল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করল যৌথ বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার সকাল নশিপুর ইউনিয়নর ছোট ইটালী গ্রামর জনক মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বসতবাড়ীর বাক্স থেকে ওই ককটলগুলা উদ্ধার করা হয়। এরআগ গত ২নভম্বর ওই বাড়ীত ককটল তৈরীকালে বিস্ফারণে একজন আহত হয়। উদ্ধার করা হয় ৫টি ককটল ও কিছু বিস্ফারকর আলামত। জানা গছ, ২নভম্বর রবিবার বেলা সাড় ১১টায় গাবতলীর নশিপুর ইউনিয়নর ছোট্ট ইটালি গ্রামর মুঞ্জু হোসেনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন বাড়ীতে ককটল তৈরীকালে বিস্ফারণ আতাউর রহমান (৩৫) নামের কুমিল্লার এক ককটল তৈরীর কারিগর গুরুতর আহত হন। আহত সেলিম কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদচর গ্রামর মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে। পুলিশ খবর পেয়ে আহত সেলিমকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে। সেলিম বর্তমানে পুলিশের প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মুক্তার হোসেন এর স্ত্রী নাছিমা মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমান কারাগার রয়েছেন। পর পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও ডিবির লোকজন তল্লাশী চালিয় ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফারিত ৫টি ককটল ও কিছু বিস্ফারকর আলামত উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৩ নভম্বর থানায় মামলা হলে বাগবাড়ীর ফাঁড়ীর এসআই মামলার তদÍকারী কর্মকর্তা আরাফাত গত সামবার বিকালে মুক্তার হোসেনের বাড়ীতে যান। সেখানে ঘরের ভিতর একটি বাক্স তালাবদ্ধ দখতে পেলে তার সন্দেহ হয়। পর বাক্সের তালা ভাঙ্গলে তিনটি ব্যাগে অনেক গুলা ককটল দেখতে পাওয়া যায়। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তাদের পরামর্শে সারারাত বাক্সটি পুলিশী প্রহরায় রাখা হয়। গতকাল সকাল বগুড়া ও সারিয়াকাদীর সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩৯টি ককটল উদ্ধার কর পার্শ্ববর্তী নদীর পাড় নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।এ ব্যাপার মডল থানার ওসি সেরাজুল হক বলেন, গত ২নভেম্বর গাবতলীর ছোট ইটালী গ্রামর জনক মুক্তার হোসেনের বসতবাড়ীতে ককটল বানানার সময় কুমিল্লার সেলিম নামর এক ব্যক্তি আহত হন। এসময় ৫টি তাজা ককটল ও ককটল তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পর গতকাল সকাল দ্বিতীয় দফায় আরও ৩৯টি তাজা ককটল উদ্ধার কর নিষ্ক্রিয় করা হয়।