স্টাফ রিপোটার: বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে বেশি বেশি করে সংস্কৃতিক উৎসব করতে হবে। অপসংস্কৃতির আড়ালে আমরা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছি। অপসংস্কৃতিকে প্রতিরোধ করতে হলে দেশীয় সংস্কৃতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বগুড়া সংস্কৃতিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। বগুড়া থেকে অনেক শিল্পী তৈরি হয়েছে। বগুড়ার শিল্পীরা আন্তর্জাতিক ও জাতীয়ভাবে শিল্পী হিসেবে নিজেদেরকে তৈরি করেছে। বগুড়া শিল্প, সংস্কৃতি, কৃষি, রাজনীতি, খেলাধুলোসহ সর্বদিক থেকে বগুড়া এগিয়ে থাকার পরেও আমরা দীর্ঘ ১৬টি বছর বগুড়া বঞ্চিত ও অবহেলিত ছিল। আগস্ট বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। আমরা গণতান্ত্রিক মানবিক, সাম্যর বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে না। সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে যখন কোনো দলের নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি, তখন সংস্কৃতিক কর্মীরা প্রথম রাজপথে নেমেছে। সংস্কৃতিক কর্মীরা ভয় ভীতিকে অপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আন্দোলনকে তারা বেগবান করেছে। আবার নতুন করি নতুন ভাবে শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই নতুন কুড়িকে বন্ধ করে দিয়েছিল। ১৭ বছর নতুন করে ছিল না, নতুন কুড়ির মাধ্যমে সংস্কৃতি বিকাশ বৃদ্ধি পেয়েছিল নতুন নতুন শিল্পী গ্রাম অঞ্চল থেকে উঠে এসেছিল। তিনি ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে হিন্দোল একাডেমী ও ভোর হলো আয়োজনে ৩ দিনব্যাপি সৃজনন্দন উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্ভোধকের বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। বগুড়া থিয়েটারের আহবায়ক এড. পলাশ খন্দকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন সৈকত, জাতীয়তাবাদি আইনজিবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মন্ডল, সাংবাদিক মোমিন রশিদ শাহিন। এতে উপস্থিত ছিলেন হিন্দোল একাডেমীর সভাপতি জুলফিকার হোসেন সুইট, সাধারণ সম্পাদক সোবহানী বাপ্পি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অলক কুমার পাল। ৩০অক্টোবর হতে ১ নভেম্বর তিন দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান চলবে। প্রতিনি অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল ৪টা থেকে।