ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২য় বারের মত বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মতবিনিময় সভা করেছেন। ২৭ অক্টোবর বিকালে বিএনপির চেয়ারপার্সানের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালির মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। তাদের প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। এমনকি অনেক আসনে পাঁচ-ছয়জন থেকে শুরু করে ১০-১২ জন পর্যন্ত প্রার্থী মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে ওই এলাকার বিএনপির নেতা-কর্মী, সমর্থক ও ভোটাররাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছেন। সকল নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলের দুঃসময় থেকে এখন অবধি যারা কাজ করছেন, দলের প্রতি আপনাদের,আমাদের সকলের অবদান অনেক। একটি দল থেকে কিংবা একটি আসন থেকে, সবাইকে তো আর মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত করতে সকল মতপার্থক্য ভুলে কে কার লোক, কে কোন পন্থী, সবকিছু ভুলে ধানের শীষকে বিজয় করতে হবে। তাই প্রার্থী নির্ধারণে চূড়ান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি, যাতে দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাই একযোগে কাজ করে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে পারেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। দল যাঁকেই মনোনয়ন দিক না কেন, তাঁর পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আপনারা বিএনপির তূণমূলের প্রাণ দলকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন। বিগত সময় বিএনপির অনেক নেতার্মীরা হামলা, মামলা জেল, জুলুমে নির্যাতনে শিকার হয়েছে। আর কষ্ট করতে হবেনা। অসুস্থ অবস্থায় দলের জন্য বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াও অনেক কষ্ট ও নির্যাতিত হয়েছে জেলও খেটেছেন। এখনো তিনি দেশের নেতাকর্মীদের কথা এবং আপনাদের কথা ভাবেন। মতবিনিম সভায় বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়নের গ্রীন সিগনাল পাওয়া নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় বগুড়ার নেতৃবৃন্দের মধ্য উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক পৌর মেয়র এড. একেএম মাহবুবর রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সাবেক এমপি গোলাম মোঃ সিরাজ, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, ড্যাব বগুড়া জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ডা. শাহ মোঃ শাজাহান আলী, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বগুড়া ইউনিটের সভাপতি এড. আব্দুল বাছেদ, সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি এড. হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির, আদমদিঘী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মুহিত তালুকদার, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলম মামুন, গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন, সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান হিরু মন্ডল, জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম, যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি।