শিবগঞ্জ (বগুড়া) থেকে জাবিউর আলম হিমু : সারা দেশের ন্যায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগারের আলু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। সচেতন মহল জরুরীভাবে সরকারের দৃষ্টি কামনা করেছেন। কালিপাড়া গ্রামের আলু ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী বলেন, ২ হাজার বস্তা আলু হিমাগারে রেখেছি ১ হাজার ২শত টাকা পত্তায়। সেই আালু ৫শত টাকা বস্তা বিক্রি করে হিমাগারের ভাড়া ৪শত টাকা দেওয়ার পর প্রতি বস্তা ১শত টাকা মূলধন পেয়েছি। শিবগঞ্জ হাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাওন বলেন, এবার আলু ব্যবসায়ীরা হতাশায় ভুগছে। কারণ ব্যবসায়ীদের লাভ-নজ নয়। মূলধন শেষ হওয়ার পথে। চাঁদনিয়া শিবগঞ্জ গ্রামের কৃষক আলহাজ¦ আলমগীর হোসেন বলেন, ১ বিঘা জমিতে চড়া দামে বীজ কিনে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে আলু রোপন করেছিলাম। সেই ক্ষেতের আলু বিক্রি করলাম ৯ হাজার টাকা। উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম, মাঝপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন বলেন, গত মৌসুমে আলু রোপন করে লোকসানের হিসাব গুনে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। এজন্য হতাশায় ভুগছি। ব্যবসায়ী এরশাদ বলেন, ধারদেনা করে সাড়ে ১২ শত টাকা পত্তায় ৫শত বস্তা আলু হিমাগারে রেখেছি। সেই আলু এখন ৪শ টাকা দরে বিক্রি করলে সব টাকা হিমাগারের ভাড়া দিয়েই সব মূলধন শেষ হবে। তাছাড়া আলু কেনার তেমন ব্যাপারি নেই। তাই কেন যে আলু হিমাগারে রাখতে গেলাম এখন চরম হতাশায় ভুগছি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত অর্থ বছরে ১৮ হাজার ৫শ হেক্টর জমির ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৬ শ মেট্রিকটন আলু উৎপাদননের লক্ষ মাত্রা ছিল। সচেতন কৃষকগণ বলছেন-গত মৌসুমে চড়াদামে বীজ কিনে কৃষকরা আলু রোপনে ব্যাপক ভাবে ঝুকে পড়েছিল। তাছাড়া বিদেশে তেমন আলু রপ্তানী না হওয়ায় আলুর বাজারে ধস। এতে সরকারি ভাবেও তেমন দৃষ্টি দেওয়া হয়নি বলে কৃষকগণ অভিযোগ করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, গত অর্থ বছরে কৃষকরা ব্যাপক হারে আলু রোপন ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন বেশ ভাল হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, কৃষকদের সহযোগিতার জন্য উপর মহলে জানানো হয়েছে। যদি সরকারি ভাবে নির্দেশনা আসে, তবে প্রকৃত কৃষকদের নিকট থেকে আলু ক্রয় করা হবে।