যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই সিকদার বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের গণমাধ্যম হাসু মিডিয়াতে পরিণত হয়েছিল। হাসিনার শাসনকালে ৭০ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছে। জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার হয়ে কাজ করতে হবে। সংবাদপত্রে যেন শাসকেরা নিজের চেহারা দেখতে পায়। ১৮অক্টোবর শনিবার দুপুরে হোটেল নাজ গার্ডেনে বগুড়া প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ বলা হয় গণমাধ্যমকে। সাংবাদিকদের বলা হয় সমাজের আয়না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে সমাজের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধারা হয়। শেখ মুজিব চতুর্থ সংশোধনী করে বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল ব্যান্ড করে দিয়েছিল। সরকার পক্ষের চারটি পত্রিকা রেখে, সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। সাংবাদিকরা রাস্তায় বাদাম বিক্রি করে খেয়েছেন, বাইতুল মোকারমের সামনে কয়েকজন সাংবাদিক হাতের চুড়ি বিক্রি করে খেয়েছে। এরকম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন শহীদ জিয়া। শহীদ জিয়া সংবাদপত্রের অপার সম্ভবনার দরজা খুলে দিয়েছিলেন। বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল হাসান রানুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কালাম আজাদের পরিচালনায় অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমরুল কায়েস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান, দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক, আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারাফ হোসেন, জেলা এ্যাডভোকেট বার সমিতির সভাপতি এড. আতাউর রহমান খান মুক্তা।