হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গভীর চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দুর্গাপূজার সপ্তমী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই উৎসব অত্যন্ত আনন্দ, উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। এই উৎসবকে ঘিরে যেমন নানা ধরনের অপতৎপরতা রয়েছে, তেমনি আমরা চাই, উৎসবটি যেন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এজন্য আমরা সবাই সতর্ক আছি। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে বিএনপির নেতাকর্মীরা নজরদারি করছেন এবং নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং পূজা নির্বিঘ্নে পালনের বিষয়ে বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন। দেশে-বিদেশে অনেক চক্রান্তকারী সক্রিয় রয়েছে, যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে জাতিগত সম্প্রীতির ঐতিহ্য নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। এসব চক্রান্ত প্রতিহত করতে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, পাহাড়ে হঠাৎ করে অশান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসব বিষয় মানুষকে নানাভাবে ভাবিয়ে তুলছে এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জন্ম দিচ্ছে। এই সময়েই গার্মেন্টস সেক্টরেও অশান্তির চিহ্ন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়- প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনো চক্র জড়িত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেককেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশবিরোধী যদি কোনো চক্রান্ত বা মাস্টারপ্ল্যান থেকে থাকে, কোনো অশুভ পরিকল্পনা থেকে থাকে, তাহলে আমাদের সবাইকে তা ব্যর্থ করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে হবে। জামায়াতের এক নেতার বক্তব্যে মানুষকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ আমাদের আক্রমণ করতে পারে, যুদ্ধ হতে পারে- এই কথাগুলো কেন আসছে? এটা কি কোনো পাতানো বিষয়? হ্যাঁ, আমাদের অনেক অমীমাংসিত বিষয় আছে- পানি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি। এসব বিষয় আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে। কিন্তু আক্রমণের আশঙ্কা কেন ছড়ানো হচ্ছে? এটাও মানুষকে ভাবাচ্ছে যে, বিষয়টি কি পরিকল্পিত? এমন বক্তব্য দেশের জন্য বিপজ্জনক ও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী। তিনি বলেন, আমরা একসময় একটি ফ্যাসিবাদের পতন দেখেছি। কিন্তু আজ আবারও নতুন করে মাটির ভেতর থেকে, পাতাল থেকে, আরেকটি ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কি না- সেটি আজ মানুষের মনে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু কর্মকাণ্ড সে আশঙ্কাকে উস্কে দিচ্ছে।