বগুড়া শহরতলীর ছোটবেলাইল পুর্বপাড়ায় চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওখানকার এক জমির মালিক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোছাঃ মিনারা খাতুন। আমার জমিতে প্রবেশাধিকারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে যে অবিচার, হয়রানি ও বেআইনি বাধার শিকার হচ্ছি। রোববার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে লিখিত এক বক্তব্যে বলেন, বগুড়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের ছোটবেলাইল পুর্বপাড়ায় আমার বিধবা ফুপু মোছাঃ নাজমা বেগম ও আমার সম্পত্তিতে প্রবেশের রাস্তায় অবৈধভাবে দেয়াল নির্মাণ করলে, আমি বগুড়া পৌরসভার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অতপর বগুড়া পৌরসভার নির্দেশে পৌর গার্ড বাহিনী ও জেলা পুলিশ রাস্তার উপর নির্মিত অবৈধ দেওয়ালটি অপসারন করে। প্রতিপক্ষ পুনরায় সেখানে গায়ের জোরে নতুন করে লোহার দরজা, টিনের সেড নির্মান করে রাস্তাটি সম্পূন বন্ধ করে। তারা দাবি করছে জমিটি তাদের কেনা সম্পত্তি, দলিলে রাস্তার কথা উল্লেখ নেই। প্রতিপক্ষ এই জমিটি আমার চাচার কাছ থেকে ক্রয় করেছে। তারা আরও দাবি করছে আমাদের জমিতে যাওয়ার বিকল্প রাস্তা আছে, অথচ বাস্তবে কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। আমরা রাস্তার সমপরিমান জমি তাদেরকে দিতে চেয়ে একাধিকবার আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু তারা কখনই আলোচনায় বসেনি। বরং বোরহান উদ্দিনরা রাস্তা না দেওয়ার উদ্দশ্যে সাময়িক নিষেধাঙ্গা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে। আসলে তাদের উদ্দেশ্য হলো আমার ফুপু ও আমাকে আমাদের জমিতে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত করে জমিটি সস্তায় কিনে নেওয়া। তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও আইনি উপায়ে সমাধান খুঁজেছি- এবং নিরুপায় হয়ে আদালতে রাস্তা চেয়ে মামলা দায়ের করেছি, বগুড়া পৌরসভায় ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। মামলাগুলো চলমান রয়েছে। প্রশাসন ও আদালত দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের জমিতে প্রবেশাধিকার ফিরিয়ে দেবেন।