বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ কথা বলেন । তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর যে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যদি আমরা দেখি তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক থাকে। কিন্তু দিন শেষে সেই বিষয়গুলো তারা জনগণের উপর ছেড়ে দেয় এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন মতামত দল বা ব্যক্তির পক্ষ থেকে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হয় এবং জনগণের উপর সেই দায়িত্ব দেয়া হয়, জনগণ যেটিকে গহণ করবে সেটিকেই গ্রহণ হিসেবে ধরে নেয়া হয়। এবং সেটি করার উপায় কি? সেটি করার উপায় হচ্ছে নির্বাচন অর্থাৎ জনগণের হাতে ভোটের মধ্যমে সেই শক্তি ফিরিয়ে দেয়া, জনগণের হাতে সেই বিষয় সম্পর্কে রায় গ্রহণ করা।’ এসময় তিনি আরো বলেন, ‘ভোটের মাধ্যমে যে কাজটি হয় সেটি হচ্ছে জবাবদিহিতাকে প্রতিষ্ঠিত করা। গত ১৫বছর ভোট দেওয়ার উপায় ছিলো না, সেটি অস্ত্রের বলে কেড়ে নেয়া হয়েছিলো। কখনো আমরা দেখিছি ডামি নির্বাচন, কখনো আমরা দেখিছি ভোটারবিহীন নির্বাচন, কখনো দেখেছি ভোট ডাকাতির নির্বাচন। সে কারণে সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নের নাম করে সামান্য কিছু জিনিস মানুষকে দেখিয়েছে কিন্তু এর বিনিময়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়ে গিয়েছে তারা। কোন রকম জবাবদিহিতা ছিলো না বলেই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কোন যোগ্য লোককে প্রতিষ্ঠান গুলো পরিচালনা করার সুযোগ দেয়া হয় নাই। সব জায়গা থেকে যোগ্য লোককে সরিয়ে তাদের দলীয় লোককে সেখানে বসানো হয়েছিলো। সে কারণেই বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পূনর্গঠন করতে হবে। আর এই পুনর্গঠনের কাজ আমরা যত তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারবো দেশকে আমরা তত তাড়াতাড়ি উন্নত করতে পারবো, দেশের মানুষের সমস্যা তত আমরা কমিয়ে আনতে পারবো।’ দেশের স্বার্থে তিনি দেশবাসী ও দলের কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘স্বৈরাচারের মাথা পালিয়ে গেছে, কিছু কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তারা মাথা চারা দিয়ে উঠতে চাচ্ছে। আমরা তাদের মাথা চারা দিয়ে উঠতে দেবো না। এর জন্য আমাদের ঐক্যবন্ধ থাকতে পারে। আমাদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতেই পারে। এসব নিয়ে আমরা বসবো , প্রয়োজনে বার বার বসে সমাধান করবো।’