ভারতের প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ধর্মীয় উৎসবগুলোতে জনসমাগমের সময় মৃত্যুর ঘটনা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অনেক মানুষের অংশগ্রহণের কারণে এ রকম ঘটনার রেকর্ড আগেই ছিল কুম্ভ মেলায়। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সকালের দিকে ৪০টি লাশ মর্গে আনা হয়েছিল। রয়টার্সের একজন সংবাদকর্মী মর্গের ভেতরে ৩৯টি লাশ গণনা করেছেন। পুলিশের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মৃত ৪০ জনের ৩৯ জনই পদদলিত হয়ে মারা গেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আমাদের এখানে প্রায় ৪০টি লাশ রয়েছে। আরো লাশ আসছে। আমরা সেগুলোও সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। একে একে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুম্ভ মেলা এলাকায় থাকা এক চিকিৎসক এএফপিকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেশ কিছু মানুষ।’ উদ্ধারকারী দলগুলোকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহতদের সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা লাশ বহন করার জন্য স্ট্রেচার নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করছিলেন। লাশের ওপর মোটা কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। এক কিলোমিটার দূরে একটি হাসপাতালের তাবুতে দাঁড়িয়ে অনেক আত্মীয় উদ্বিগ্নভাবে অপেক্ষা করছিলেন। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বুধবার ছিল কুম্ভ মেলার সবচেয়ে পবিত্র দিন, যেখানে লাখ লাখ মানুষ গঙ্গা ও যমুনা নদীর মিলনস্থলে পাপ মোচনের জন্য গোসলে যাওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা আশঙ্কা রানা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) সংবাদ সংস্থাকে জানান, ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ায় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটে। যাত্রী মালতি পান্ডে এফপিকে বলেন, তিনি নদীতে গোসল করতে যাওয়ার পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। এর আগে, ১৯৫৪ সালে কুম্ভ মেলা চলাকালে পদপিষ্ট বা ডুবে চার শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৩ সালে কুম্ভ মেলায় ৩৬ জন পদপিষ্ট হয়ে মারা যান।