বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেছেন, বগুড়ায় বিমানবন্দর চালু হলে অর্থনৈতিক পরিসর আরও সমৃদ্ধ হবে। এখানে বিমানবন্দর নিয়ে আগের সরকারকে একাধিকবার প্রস্তাব দিলেও কোনো গুরুত্ব দেয়নি তারা। আমরা নতুন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রস্তাব দিব। বাজেট পেলেও স্বল্প পরিসরে চালু করতেও সময় লাগবে কমপক্ষে এক বছর। রবিবার বেলা ১২ টার দিকে বগুড়া বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, দেশের নবম বিমানবন্দর হিসেবে চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বগুড়া বিমানবন্দর। এটি চালু করতে প্রয়োজন সর্বনিম্ন ৬ হাজার ফুট রানওয়ে। এখন আছে ৪ হাজার ৭০০ ফুট। রানওয়ে আরো বাড়াতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাসহ বিমান বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। এদিকে প্রায় দুই যুগ পর অবশেষে বগুড়ায় বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে করে আলোর মুখ দেখবে লাল ফাইলে বন্দি থাকা সবুজ বিমানবন্দরটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে বিমানবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৮৭ সালে। কিন্তু নানা জটিলতা সেই উদ্যোগে ভাটা পড়ে। এরপর ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে এখানে বিমানবন্দর স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এ জন্য ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন পায়। ১৯৯৫ সালে সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে ১১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে প্রকল্পের আওতায় রানওয়ে, কার্যালয় ভবন ও কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করা হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০০০ সালে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ২৮ বছরেও বগুড়া বিমানবন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়নি। বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন করায় বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের মাঝে বইছে আনন্দ-উল্লাস। বগুড়াবাসী বলছেন, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরুন হতে চলছে।