1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
কুড়িগ্রামের উলিপুরে কালের সাক্ষী নান্দনিক স্থাপত্যের মুন্সিবাড়ি - Uttarkon
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
তরুণ প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তোলা গেলে আগামীর বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে যাবে-মির্জা ফখরুল ইসলাম  দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত থামবে না : শফিকুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি অপমানিত করেছে আওয়ামী লীগ : রিজভী জাঁকজমকপূর্ণ অভিষেকে সোমবার ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন দুপচাঁচিয়ায় আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন দুপচাঁচিয়া ইয়ুথ ক্লাবের পক্ষ থেকে গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ রাজশাহীর বানেশ্বরে হাটে পেঁয়াজ চারা থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ বক আর বুনোহাঁস শিকার করে খাওয়া সেই ভøগার আল-আমিন ও তুলিকে খুঁজছে বন বিভাগ মতিহারে চোরাই মালামাল-সহ চোরচক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

কুড়িগ্রামের উলিপুরে কালের সাক্ষী নান্দনিক স্থাপত্যের মুন্সিবাড়ি

  • সম্পাদনার সময় : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৭ বার প্রদশিত হয়েছে

সাইফুর রহমান শামীম,, কুড়িগ্রাম।। প্রাচীন স্থাপত্য মুন্সিবাড়ি নিয়ে,বিস্তারিত তুলে ধরা হচ্ছে:কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার অদুরে ধরনীবাড়ী ইউনিয়নে ২৭০ বছরের অধিক পুরাতন স্থাপত্য মুন্সিবাড়ী। নবাব সিরাজউদ্দৌলার শাসনামলে খসড়া প্রনয়ন বিভাগে একজন কর্মচারী ছিলেন বনওয়ারী মুন্সি । শিকারে এসেছিলেন বামনী নদীপথে ধরনীবাড়ি অঞ্চলে। এ সময় তিনি একটি সাপকে ব্যাঙ গিলে ফেলার দৃশ্য দেখেন। অতি উৎসাহিত হয়ে নবাবকে এ অঞ্চলের কিছু জমি তার নামে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। নবাব তাকে ২১.২০ একর জমি এবং লক্ষ্মী নারায়ণের জন্য ১১.২০ একর জমি বরাদ্দ করেন। বনওয়ারী মুন্সির কোনও সন্তান ছিল না। তাঁর স্ত্রী কাদিঙ্গিনী মুন্সী, লক্ষ্মী নারায়ণকে সেবা করার জন্য বিনোদ নামে একজন দত্তক পুত্র নিয়েছিলেন। কিন্তু বিনোদও সন্তানহীন ছিলেন। পরবর্তীতে তাই একই উদ্দেশ্যে বিনোদের স্ত্রী, কৃষ্ণ কামিনী আরেক ছেলে, ব্রজেন্দ্র লালকে গ্রহণ করেছিলেন। পরে ব্রজেন্দ্র লাল মুন্সির স্ত্রী আশরাথ মুন্সি দুই মেয়েকে জন্ম দেন। বড় মেয়ে শুচি রানী ও ছোট মেয়ে শুশমান কান্তি। শুশমান কান্তি খুব অল্প বয়সে মারা যায়। কুষ্টিয়াতে শুচি রানীর বিয়ে হয়। পরে তার পরিবার কলকাতায় বসবাস করতে চলে যায়। শুচী লক্ষ্মী নারায়ণকে সেবা করার জন্য একজন পুত্র সন্তান দত্তক গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে বিহারীলাল মুন্সী কলকাতায় চলে যান। সংস্কারের অভাবে ভবনটির নাট মন্দির , দুর্গা মন্দির, বিষ্ণু মন্দির, ডাইনিং ঘর, রান্নাঘর, গোবিন্দ মন্দির, অঙ্কন ঘর, বিছানা ঘর, উপরের তলায় বিশ্রামের ঘর, বাথরুম এবং শিব মন্দির নষ্ট হয়ে যায়। মুন্সিবাড়ী ও তার সম্পত্তি দখলের জন্য স্থানীয় কিছু লোকের বিরোধ সৃষ্টি হয় ও অনেকেই আহত ও একজন নিহত হয়। পরবর্তীতে সরকার মুন্সিবাড়ী ও তার সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ নেয়। বর্তমানে ইসলামী মিশন ও ফাউন্ডেশন ভুমি অধিদফতরের নিকট থেকে ৯০ বছরের জন্য ভবনটি লিজ নিয়ে, সেখানে একটি হাসপাতাল ও একটি মসজিদ স্থাপন করেছে। এ ছাড়াও কিছু জমি স্থানীয় লোকজনকে লিজ দেওয়া হয়েছে। মুন্সিবাড়ী গবিন্দ মন্দিরে প্রতিদিন পূজা হয়। প্রতি বছর মুন্সি বাড়ী প্রাঙ্গণে দুর্গা মেলা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies