1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন রূপকার - Uttarkon
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্র নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান তারেক রহমানের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার: মির্জা ফখরুল ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে: ইসি মাছউদ ১৬ বছর পর জামিনে মুক্ত তিন শতাধিক বিডিআর সদস্য জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে গাবতলীতে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরন ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী আইন কংগ্রেসে অনুমোদন, গ্রেফতার ৪ বাংলাদেশী ইনার হুইল ক্লাব অব বগুড়ার কম্বল বিতরণ সোনাতলায় অগ্নিনির্বাপণে মুজতাহিদ উদ্ভাবিত পদ্ধতির মহড়া বগুড়া ৪-এপিবিএন এর বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ, ক্রিড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত বদলগাছীতে গাঁজার গাছসহ আটক -১

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন রূপকার

  • সম্পাদনার সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৬ বার প্রদশিত হয়েছে

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী তৎকালীন মুজিব সরকার সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল তথা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে। ৪টি পত্রিকা রেখে বন্ধ করে দেয় সকল পত্রিকা। বাকশালে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ গণতন্ত্র ফিরে আসার অপেক্ষায় অধীর ছিল। জিয়াউর রহমান জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল প্রথা বাতিল করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। গণমাধ্যমের উপর থেকে তিনি সকল বাঁধা নিষেধ উঠিয়ে গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দেন নিজের মতো কাজ করার। একটি রাজনৈতিক দল যেখানে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে সংকুচিত করেছিল তখন জাতির প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী থেকে আসা একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী সৈনিক স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মুক্ত গনতান্ত্রিক চর্চার পথকে সূগম করেছিলেন। সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর পর ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন এবং তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ১৯ দফা কর্মসূচি অনুযায়ী বাংলাদেশে উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির এক নবধারা প্রবর্তন করেন। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জিয়াউর রহমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রতি জোর দিয়ে দেশকে স্বনির্ভর করে তোলার কাজে হাত দেন। শহর কেন্দ্রিক উন্নয়নের থেকেও তিনি গ্রামীণ উন্নয়নকে প্রাধান্য দেন কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন স্বনির্ভর দেশ করার জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন কৃষির উন্নয়ন, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া। গ্রামীন অর্থনীতির চাকাকে সচল করার জন্য ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে যশোরের উলশী গ্রাম থেকে স্ব-নির্ভর আন্দোলন কর্মসূচির সূচনা করে গ্রামীন জনপদের প্রতিটি মানুষকে স্বনির্ভর হতে উদ্ভুদ্ধ করেন। তিনি দেশের ৬৮ হাজার গ্রামের প্রতিটিকে এক একটি স্ব-নির্ভর ইউনিট হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান স্বনির্ভর আন্দোলনের সাথে কৃষি, সেচ, বৃক্ষরোপন, গৃহ-নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন, স্বাস্থ্যরক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা এবং আইন শৃংখলা ব্যবস্থাকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। খাদ্যে স্বাবলম্বী হবার বিষয়টিকে জিয়াউর রহমান তাঁর জাতীয় নীতি হিসেবে ঘোষনা করেছিলেন। খাদ্য উৎপাদন দ্বি-গুণ করাকে স্বনির্ভরতা আন্দোলনের সোপান হিসেবে মনে করতেন জিয়াউর রহমান। এলক্ষ্যে তিনি খাল খনন করে শুষ্ক মৌসুমে সেচ ব্যবস্থা সচল করা, একই জমিতে একাধিক ফসল ফলানো, পতিত জমিতে চাষাবাদে গুরুত্বারোপ করাকে তার উন্নয়নের অগ্রাধিকার কর্মসূচি হিসেবে দেশব্যাপি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। খড়া মৌসুমে চাষাবাদে নিরবিচ্ছিন্ন সেচ নিশ্চিত করনে তাঁর আমলে প্রায় ৯০০ মাইল দীর্ঘ খাল খনন করা হয়েছিল।জিয়াউর রহমার দেশকে স্বনির্ভরতার লক্ষ্য অর্জনের পরিপূরক হিসেবে গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচিকে মুলধারার শিক্ষার সাথে সংযুক্ত করে দেশের স্বাক্ষরতার হারকে বৃদ্ধি করেছিলেন। মূলত মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারন করে তিনি ১৯৮০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বহুল প্রশংসিত গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচি ঘোষনা করেছিলেন। গণনন্দিত এই কর্মসূচির মাধ্যমে খুব স্বল্প সময়ে দেশে প্রায় ৪০ লক্ষ নিরক্ষর মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দান করতে পেরেছিলেন। মূলত ১৯৮৫ সালের মধ্যে দেশের স্বাক্ষরতার হার ৮০% উন্নীতকরণের লক্ষমাত্রা নিয়ে জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরতা কর্মসূচি ঘোষনা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে দেশের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে ‘এক ছেলে এক মেয়ে’ ধারণাকে নীতি ও আদর্শ হিসেবে প্রচার করেন এবং তা বাস্তবায়নে ১৯৭৬ সালে গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ৩৮ হাজার পরিবার পরিকল্পনা কর্মী নিয়োগ করেন। ক্ষমতাকে গ্রাম পর্যন্ত বিকেন্দ্রীকরণ করার জন্য এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষে ১৯৮০ সালের ৩০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রচলন করেন। ১৯৮০ সালের ২১ জুন জিয়াউর রহমানের সরকার মহান জাতীয় সংসদে গ্রাম সরকার বিল উত্থাপন করেন এবং তা একই দিনে অনুমোদিত হয়। এর ফলে ছোট ছোট সমস্যা গ্রামেই সমাধান হতে থাকে। মামলা মোকদ্দমা উল্লেখযোগ্যহারে কমে আসে। ১৯৭৮ সালের এক জরিপে জানা যায় যে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশই যুবক। হতাশা, সন্ত্রাস ও বেকারত্ব ও মাদকাসক্ত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করে তাদেরকে উন্নয়নের মুলধারায় ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শেরে বাংলা নগরে দুদিন ব্যাপী জাতীয় যুব সস্মেলন আয়োজন করে যুব সমাজকে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। যুব সমাজকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য ১৯৭৮ সালে তিনি দেশে প্রথমবারের মত যুব মন্ত্রনালয় চালু করেন। জেলায় জেলায় যুব কমপ্লেক্স চালু করে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদের স্বকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সাহায়্য করেন। গ্রামীণ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেশীয় উন্নয়ণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি হাতিয়ার হওয়া সত্ত্বেও স্বাধীন দেশে তা ছিলো অনেকটায় অবহেলিত ও উপেক্ষিত। গ্রামের মানুষের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শহীদ জিয়া ১৯৭৬ সালে ভিডিপি বা গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠন করেন। সেদিনের সেই বাহিনী আজ গ্রামীন জনগোষ্ঠীর শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। আজকের শিশু আগামীর রাষট্রনায়ক। তাইা শহীদ জিয়া শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য ১৯৭৭ সালের ১৫ জুলাই শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শিশুদের মেধাবিকাশে টিভিতে নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতা চালু করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া বহিবিশ্বে দেশের অপ্রচলিত গার্মেন্টস শিল্প, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করেছিলেন। জিয়ার হাতধরেই গড়ে উঠা সেদিনের শিশু গার্মেন্ট শিল্প আজ দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাত। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এই বিপুল সংখ্যক নারীকে কর্মহীন রেখে কোনভাবেই যে সদ্য স্বাধীন একটি জনবহুল দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় সেটা উপলব্ধি করে শহীদ জিয়া নারীদেরকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে দেশের সার্বিক উন্নয়নের চাকাকে গতিশীল করার জন্য মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে নারীদের ক্ষমতায়ন ও সমাজে তাদের যথাযথ সস্মান নিশ্চিত করেছিলেন। বিজ্ঞান শিক্ষার প্রচার ও প্রসার এবং বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে তিনিই প্রথম দেশে পৃথক একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সাধারণ শিক্ষার সাথে মাদরাসা তথা ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয় সাধন করে নৈতিকতা সম্পূর্ণ সুনাগরিক গড়ে তোলার জন্য স্বাধীনদেশে সর্বপ্রথম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যা আবার স্বাধীন দেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি অলম্বন করে সহজেই বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতায় এসেই ইন্দে-সোভিয়েত বলয় থেকে বের হয়ে আমেরিকা ও চীনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাতে তিনি সফলও হয়েছিলেন। তিনি তার সাহসী, চৌকস ও দূরদর্শী পররাষ্ট্রনীতির কারণে মুসলিম বিশ্বের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি তাঁর স্বল্প সময়ের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালে ইরাক-ইরান যুদ্ধে একক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভুমিকা পালন, আল কুদস কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া, ফিলিস্তিন জনগণের প্রতি অবিচল সমর্থন, ওআইসিকে একটি কার্যকরি সংগঠনে পরিনত করার ক্ষেত্রে শহীদ জিয়ার ভুমিকা মুসলিম বিশ্ব আজও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। তিনিই মুলত মুসলিম বিশ্বে শ্রমবাজার সৃষ্টি করে সরকারিভাবে কর্মী প্রেরণ করেন। শহীদ জিয়া দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভু-রাজনৈতিক ঐক্য সৃষ্টির জন্য সার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। তাই তাঁকে সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা বলা হয়ে থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies