মানব উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালক মৃত মাহাবুর রহমানের স্ত্রী মাছাঃ আফসানা আক্তার বুধবার বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন। মোছাঃ আফসানা আক্তার তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী মাহাবুর রহমান “মানব উন্নয়ন” নামক একটি সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক ছিলেন। আমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে উক্ত সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া আসিতেছিল। আমার স্বামী উক্ত “মানব উন্নয়ন” নামক সমিতি পরিচালনাকালে সরল বিশ্বাসে বিভিন্ন ব্যক্তিদেরকে মোটা অংকের ঋণ প্রদান করিয়া উক্ত ঋণের টাকা আদায় করিতে না পারার কারনে প্রায় সময়ই মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকিত। ইতিমধ্যে কতিপয় উচ্ছৃংখল গ্রাহক আমার স্বামীর নিকট তাহাদের সঞ্চয়ের টাকা আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করিলে আমার স্বামী উশৃংখল গ্রাহকদের চাপ সহ্য করিতে না পারিয়া গত ইং ০৪/১২/২০২৪ তারিখে প্রতিষ্ঠানের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে! আমার স্বামী আত্মহত্যার পূর্বে একটি চিরকুটে লিখে যায় যে, “বাড়ীতে আমার পরিবারের জন্য বাজার করার টাকাও রাখিনি এবং আমার বাড়ীতে কেউ টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করিবেন না”। আপনারা গ্রাহক আমার মৃত স্বামীর নিকট পাওনা টাকা আল্লাহর ওয়াস্তে মাফ করিয়া দিবেন। আমার স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর আমার নাবালক দুইটি শিশু পুত্র/কন্যা মোঃ আসাদ (০৫) এবং জান্নাতুল মাওয়া (০৭) কে লইয়া আমি চরম কষ্টের মধ্যে বিভিষিকাময় দিনাতিপাত করিতেছি। আমার স্বামী উল্লেখিত “মানব উন্নয়ন” নামক সমিতি পরিচালনা করাকালে আমাদের নামে কিংবা প্রতিষ্ঠানের নামে কোন স্থাবর কিংবা অস্থাবর সহায় সম্পত্তি রাখিয়া যায় নাই। তথাপিও কতিপয় অসাধু গ্রাহক আমার স্বামীর মৃত্যুর বিষয় অবগত হইবার পরেও এবং আমার স্বামীর রেখে যাওয়া কোন স্থাবর অস্থাবর সহায় সম্পত্তি নাই জানা স্বত্বেও আমার বাড়ীতে আসিয়া টাকা পয়সা দাবী করিতেছে, খুন জখম সহ অপহরনের হুমকি প্রদান করিতেছে। যাহা অত্যন্ত অমানবিক এবং আমাদেরকেও আত্মহত্যার পর্যায়ে ফেলিয়া দেওয়ার সামিল। এমতাবস্থায় আপনাদের লিখনীর মাধ্যমে অত্র এলাকার জনগন সহ দেশের আপামর জনতার জ্ঞাতার্থে আইন শৃংখলা বাহিনী, যৌথ বাহিনী, র্যাব বাহিনী এবং পুলিশ প্রশাসনের নিকট উক্তরুপ অসাধু, উচ্ছৃংখল ব্যক্তিদের কবল হইতে আমার এবং আমার শিশু সন্তানদের জান-মালের নিরাপত্তা ও আর্থিকভাবে ক্ষতির আশংকা হইতে নিস্তার পাইবার জন্য আপনাদের মাধ্যমে সকলের নিকট আবেদন জানাইতেছি।