জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। না হলে পরিণতি ভালো হবে না।আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। জুলাই-আগস্ট গণঅনুভুত্থানের ঘটনা উল্লেখ করে সারজিস পোস্টে লিখেছেন, ১৬ জুলাই আবু সাঈদ মারা যাওয়ার পর রংপুর হয়ে ওঠে সারা দেশের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। সেদিন থেকে রংপুরে শুরু হয় ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলন। যার ধারাবাহিকতা ১৭,১৮,১৯ জুলাই,১,২,৩,৪ আগষ্ট। তিনি আরো লিখেছেন, যখন মেট্রোপলিটন পুলিশের কুখ্যাত কমিশনার মনিরুজ্জামান গং ছাত্রদের সামনে ভয়ঙ্কর রুপে আবির্ভূত হয়,তান্ডব চালায় পুরো রংপুর জুড়ে। চালায় ঢালাও গ্রেফতার বানিজ্য। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কিছু ভালো অফিসার দাঁড়ায় ছাত্র জনতার পক্ষে। যখন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ভিতরে ভিতরে ছাত্রদের পক্ষে বিপক্ষে দু’ভাগ হয়ে যায়, তখন ১৯ জুলাই মাঠে নামে রংপুর জেলা পুলিশ৷ সেদিন মূলত রংপুর সিটি বাজার এলাকা ছিল আন্দোলনের মূল কেন্দ্র।সেখানকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের সাথে রংপুর জেলা পুলিশের পোশাক পরিহিত সদস্যদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়৷ একসময় নিজ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে সাঁজোয়া এপিসি যানে করে সিটি বাজারের সামনে সিটি কর্পোরেশনের পাশে মুহুর্মুহু গুলি বর্ষণ করে তৎকালীন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান। পোস্টে সারজিস লিখেছেন, সেদিন রংপুরে ৪ জন শহীদ হন অনদা স্পটে, গুলিবিদ্ধ হন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। এই দিনে মেট্রোপলিটন পুলিশের পোশাক পরিহিত কাউকে দেখা না গেলেও তাদের একটি সাঁজোয়া যান রাস্তায় ছিলো। তিনি লিখেছেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত আছেন অভ্যুত্থানের হত্যা মামলার আসামি এই সাবেক পুলিশ সুপার। আমার ভাইদের হত্যাকারীরা কি এভাবেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? তাদের কি শাস্তি হবে না?
পোস্টে তিনি লিখেছেন, হাসিনার পতনের পর এই so called police গুলোকে আইনের আওতায় না এনে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে যুক্ত করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। না হলে পরিনতি ভালো হবে না।