বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রাজশাহীর কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। ঘুরে দাঁড়ানো লক্ষ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে মাঠে নামে শাকিব খানের দল। কিন্তু এ ম্যাচেও সেরাটা দিতে পারেননি লিটন-মোস্তাফিজরা। বিপরীতে গুনতে হয়েছে ক্যাচ মিসের মাশুল। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর ১৭৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ১২ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় রাজশাহী। এটি তাদের প্রথম জয়। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী। দলীয় ৩০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ৫ বলে ১২ রান করে প্রথম ওভারে হারিস আউট হলে ৮ বলে শূন্য করে তাকে সঙ্গ দেন জিরান আলম। তিনে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসিরকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরেন এনামুল হক। ক্যাচ মিস করায় দু’জনেই একটি করে জীবন পান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি ইয়াসির। ২০ বলে ২২ রান করে আউট হন তিনি। এরপর পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকে রায়ান বার্ল। অপর প্রান্ত থেকে ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন বিজয়। অথচ নাজমুল হাসান অপু ক্যাচটি না ছড়লে ৩০ রানে থেমে যেত বিজয়ের ইনিংস। কিন্তু সেই সুযোগ লাগিয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে রাজশাহীকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন তিনি। বিজয়ের সাথে পেয়ে ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন রায়ান বার্ল। শেষ পর্যন্ত বিজয়ের ৪৬ বলে ৭৩ রান এবং রায়ান বার্লের ৩৩ বলের অপরাজিত ৫৫ রানে ভর করে ১২ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় রাজশাহী। ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন বাবু একটি উইকেট শিকার করেন। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ঢাকা। দলীয় ১২ রানে ২ উইকেট হারায় দলটি। ৫ বলে শূন্য রান করে লিটন আউট হলে ১০ বলে ৯ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তিনে ব্যাট করতে নেমে শাহাদাত হোসেনকে সাথে নিয়ে ঢাকা শিবিরে হাল ধরেন স্টিফেন এসকেনজি। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি তিনি। ২৯ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটার। এরপর পিচে এসে বলে বলে বাউন্ডারি মারতে থাকেন থিসারা পেরেরা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৯ বলে ২১ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন তিনি। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন শাহাদত। কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর ৩ বলে ১ রান করে আউট হন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। শেষ দিকে ব্যাট চালাতে থাকেন সুভম রঞ্জনি। শেষ দিকে আলাউদ্দিন বাবু (১৩), মুকিদুল ইসলাম (০) এবং রঞ্জনি ২৪ রানে আউট হলেও ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল ঢাকা।