দলকে জেতানোর চেষ্টায় কমতি রাখলেন না শামীম পাটোয়ারী। নিজের সবটাই ঢেলে দিলেন মিরপুরে। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠলেন না, পারেননি দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে। তাতে হার দিয়েই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু চট্টগ্রামের, আর দুর্দান্ত ব্যাটিং ঝড়ে বড় জয় পেয়েছে খুলনা। মঙ্গলবার এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম কিংস। টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৩ রান তুলে নেয় খুলনা। জবাবে ১৮.৫ ওভারে ১৬৬ রান করে চট্টগ্রাম। অনেক চেষ্টার পরও হেরে যায় ৩৭ রানে।সাকিব আল হাসান, মঈন আলি, অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউজের মতো বড় নাম দলে থাকলেও তাদের কেউ নেই চট্টগ্রামের ঢেরায়। যার অভাব প্রথম ম্যাচে বেশ ভালোই বুঝেছে বন্দরনগরীর দলটা। শামীম পাটোয়ারী না দাঁড়ালে তিন অংকেই তাদের পৌঁছা হতো না কিংসের। দু’শতাধিক রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাইম ইসলাম ১২, পারভেজ ইমন ১৩, উসমান খান ১৮, মোহাম্মদ মিথুন ৬, হায়দার আলি ০, থমাস ও’কনেল ০, ওয়াসিম জুনিয়র ৮ ও শরিফুল ইসলামও ফিরে যান ১ রানে। ফলে আর কিংসের তরী ভিড়ল না বন্দরে। ১০.২ ওভারে মাত্র ৭৫ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর যখন গুটিয়ে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র, তখন জ্বলে উঠেন শামীম। আলিসকে একপাশে রেখে শুরু করেন তাণ্ডব। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে আউট হবার আগে করেন ৩৮ বলে ৭৮ রান। দর্শকদের উপহার দেন এক নজর কাড়া ইনিংস। আলিস ১৮ বলে রানে অপরাজিত থাকেন। শেষদিকে খালেদ করেন ৪ বলে ১৪ রান। তবে তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। আবু হায়দার রনি নেন ৪ উইকেট। জোড়া উইকেট নেন নাওয়াজ। এর আগে প্রথম দল হিসেবে বিপিএলের একাদশতম আসরে দু’শতাধিক রান তুলে খুলনা টাইগার্স। ওপেনাররা ইনিংস বড় করতে না পারলেও দারুণ একটা ভিত গড়ে দেন শুরুতেই। মোহাম্মদ নাইম ১৭ বলে ২৬ ও মেহেদী মিরাজ ফেরেন ১৮ বলে ১৮ করে। এতে কিছুটা ছন্দ পতন হয় খুলনার। তবে থিতু হতে পারেননি ইবরাহীম জাদরান (৬) ও আফিফ হোসেন (৮)। কিন্তু উইলিয়াম বসিস্তোকে নিয়ে সব সামলে নেন মাহিদুল। ১৪.২ ওভারে ১১৭ রানে ৪ উইকেট থেকে শেষ ৫.৪ ওভারে ৮৬ রান যোগ করেন এই জুটি। ছন্দ হারানো দলকে রানে ফেরান তারা। যেখানে বড় ভূমিকা ছিল মাহিদুলের, খেলেন ২২ বলে ৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ভালো খেলেন বসিস্তোও। অপরাজিত থাকেন ৫০ বলে ৭৫ করে। চট্টগ্রামের হয়ে আলিস আল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ নেন দু’টো করে উইকেট।