মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোমবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সোনাতলা উপজেলার ২নংইউনিয়ন পরিষদেরপ্যানেল চেয়ারম্যান ও সোনাতলা উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদকমোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার ২নং বালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান। আমি এই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পরপর তিনবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য এবং ও বালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বালুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক মামলায় কারাভোগ করেছি।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পালিয়ে যায়। এরপর আমি গত ৩ সেপ্টেম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করি। দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয় একটি কুচক্রি মহল ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি ও অসৎ উপায় অবলম্বন করার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছে। এবং আমার কাছে তারা অর্থের দাবী করে আসছে। আমি তাদের প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছি। এতে করে ওই কুচক্রি মহলের স্বার্থে আঘাত লাগলে তারা আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যার ফলস্বরূপ তারা আমাকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এবং অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা তাদের লোক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিছিল/মিটিং ও মানববন্ধন করছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাদের এসব কর্মকান্ডে আমার আত্ম সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পরিষদে যেতে পারিনি। এরপরের নির্বাচনেও নির্বাচিত হয়ে আমি বিভিন্ন হুমকি, প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েও আমার পরিষদের কাজকর্ম সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এমন সময় এই কুচক্রি মহল আমার নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা যে মিথ্যা অপপ্রচারগুলো চালাচ্ছে সেগুলো হলো- আমি নাকি ভাতাভোগী টিসিবি কার্ড, বয়স্ক/বিধবা ভাতা এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ করেছি। কিন্তু আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, টিসিবির নতুন করে সরকারি কোন বরাদ্দ আসেনি এবং বয়স্ক/বিধবা ভাতাও সরকারিভাবে আসেনি। কিছু কার্ড প্রতিস্থাপন হয়েছে তা আমি ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে স্ব স্ব ওয়ার্ডে বিতরণ করেছি।কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে আরও একটি অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি নাকি ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষরদের আশ্রয়/প্রশ্রয় দিচ্ছি, যা আদৌ সত্য নয়। সত্য বিষয় হলো ওই কুচক্রি মহলই ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ও মামলার আসামীদের নিয়ে মিটিং করে এবং তাদেরকে আরও মামলার আসামী বানাবে বলে ভয়/ভীতি দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য করে বিভিন্ন কাগজে সই নিয়েছে। আমি তিনবারের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। এই সময়ের মধ্যে আমি কারো সাথে অর্থের বিনিময়ে কিছু লেনদেন করিনি। আমার নির্বাচনী এলাকা ১নং ওয়ার্ডের ভাতাভোগীদের কাছে গেলে তারাই আমার সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারবে। সুতরাং আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠানো হয়েছে এবং অপপ্রচার চালানো হচ্ছে আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং অপপ্রচারকারীদের বিচার চাই।