স্টাফ রিপোটারঃ বগুড়ায় শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও মূলা নিয়ে হতাশায় পড়েছেন চাষীরা। সোমবার উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সবজির মোকাম মহাস্থান হাটে ফুলকপি ও মূলা বিক্রি হয়েছে ২টাকা কেজি দরে, আবার আকার ও মান ভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকা মণ দরে বিক্রি হতে দেখা যায় এবং বাধাকপি বিক্রি হয়েছে ৪ থেকে ৬টাকা পিস দরে। হাটে সবজির দাম কমে যাওয়ায় হাট থেকে অনেক চাষী সবজি ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন। অপরদিকে বগুড়া শহরের বাজার গুলোতে ফুলকপি ও মূলা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুমে মহাস্থান হাটে সবধরনের সবজির সরবরাহ বেড়ে গেছে। তবে দাম কম পেয়ে চাষীদের মাঝে হতাশা। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি ও বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা পিছ বিক্রি হলেও এখন এসব সবজির দাম নেমে এসেছে প্রতি কেজি ৫ টাকার নিচে। সোমবার প্রতিকেজি ফুলকপি ২ থেকে ৪ টাকা, মুলা ২ থেকে ৫ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিছ ৬ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে মহাস্থান হাটে। শুধু মূলা ফুলকপি নয় কমেছে অন্যান্য সবজির দামও। এছাড়া দাগওয়ালা ফুলকপি ও মূলা ৫০ থেকে ৮০ টাকা মন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। যা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হবে। হাটে আসা চাষীরা জানান, তারা মৌসুমের শুরুতে ফুলকপি ও মূলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও গেল ১৫ দিন ধরে দাম কমে এসেছে। সর্বশেষ ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও ১৫ দিনের ব্যবধানে তা ২ থেকে ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ১৫ দিন আগে ১৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে ফুলকপি বিক্রি করেছেন, এখন তা ২ থেকে ৫ টাকা সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করছেন। এতে করে চাষীদের উৎপাদন খরচ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় তারা। এদিকে ফুলকপি মুলার পাশাপাশি বাধাকপির দামও বেশ কমেছে। প্রতিপিছ ৪ থেকে ৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বগুড়া শহরের রাজাবাজার ফাতেহ আলী বাজার, কলোনী বাজার, মাটিডালী বাজার, কলেজ বাজার, গোদারপাড়া বাজারে ফুল কপি ও মূলা ১০ থেকে ১৫টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সিম ৪০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়া রাজাবাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল পৃরসাদ রাজ বলেন, হাট থেকে বাজারে সবজি আনতে খরচ হয়। প্রায় প্রতিটি সবজি বাজারে আনতে ব্যবসায়ীরা সব মিলিয়ে কেজি প্রতি ২ থেকে ৫টাকা খরচ হয়। বর্তমানে বাজারে শীতকালীন সবজির দাম অনেক কম। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মতলুবর রহমান জানান, গেল কয়েক বছর ধরেই বগুড়ার চাষীরা ভালো দাম পাচ্ছেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ফলনও ভালো হয়েছে। জেলায় এই মৌসুমে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৬ হাজার টনেরও বেশি সবজি উৎপাদন হবে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে যাচ্ছে বগুড়ার সবজি।