স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার নিশিন্দায় গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আবু সাঈদ(৩১) কে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। সে নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র। আবু সাঈদ বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী ছিল বলে জানা গেছে। সে অটোভ্যান ও রিক্সা গ্যারেজ ব্যবসার পাশাপাশি মাটি ও বালুর ব্যবসাও করছিল। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর কে বা কারা আবু সাঈদকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। ফোন পেয়ে আবু সাঈদ ঘরের বাহিরে বের হয়। এসময় পরিবারের লোকজন মনে করছিলেন, হয়তো পরিচিত কেউ গ্যারেজ থেকে গাড়ী নিতে এসেছে। অন্যদিকে দুর্বৃত্তরা আবু সাঈদকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল। খুনিরা আবু সাঈদকে পেয়েই এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে, এসময় আবু সাঈদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে খুনিরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আবু সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের বৃদ্ধ পিতা ইউসুফ আলী বলেন, প্রতিবেশীদের সাথে সামান্য কিছু জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল, পরে তা নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে তার ছেলেকে কেন হত্যা করা হলো? এ প্রশ্নই করে আহাজারি করছিলেন মৃত সাঈদের বাবা। অন্যদিকে নিহত আবু সাঈদের লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। তারা দ্রুত খুনীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে লাশ নিয়ে সড়কে বিক্ষোভ করেন। নিহতের বরাত দিয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বলেন, নিহত আবু সাঈদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। মাদক কিংবা বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। অন্যদিকে এলাকাবাসীর কয়েকজন জানিয়েছেন, বিএনপি’র বাহিরের কোন রাজনৈতিক দলের এই হত্যাকাণ্ড মিশনে হাত থাকতে পারে। মোবাইল ট্র্যাকিং করে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব বলেও তারা মনে করেন। অন্যদেরকে পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে নেমেছেন। নিহত আবু সাঈদের মৃতদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃতের বাবা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আবু সাঈদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।