দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন
হাইকোর্ট ডিভিশনের সিনিয়র এ্যাডভোকেটবীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তোজাম্মেল হক। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গত ২৫/১২/২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক মানব জমিন পত্রিকার ১৫ নং পাতায় “আওয়ামী লীগ এম.পি’র ভাই করেন জাল দলিল, পত্তন নেন বিএনপি নেতা” শিরোনামে একটি মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংসাদ আমার দৃষ্টি গোচর হইয়াছে। যাহা বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই। শুধুমাত্র আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মান সম্মান ক্ষুন্ন করার অভিপ্রায়ে, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে এহেন সংবাদটি প্রকাশ করা হইয়াছে। প্রকাশিত সংবাদের যে তথ্য ও উপাত্ত ব্যবহার করা হইয়াছে তাহা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পরিপন্থি ও কু-উদ্দেশ্য প্রনোদিত বটে। সেক্ষেত্রে প্রকৃত তথ্য হলো, নালিশী সম্পত্তি একটি পুকুর। উক্ত পুকুরটি সলপ জমিদার পাবনা স্টেটের শ্রী ক্ষিতিশ কুমার সান্যাল দিং ১৫ নং সি, এস খতিয়ানের মালিক। উক্ত পুকুরটি ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে শ্রীফুল মহাম্মদ মিয়া পত্তনী গ্রহন করেন। যাহার জে,এল নং ১০০, মৌজা সেরুয়া, দাগ নং- সাবেক ৬১০, হালে ১৮৭৭, পরিমান ৩.৫৮ একর, যাহার এম, আর, আর ৩৭নং খতিয়ান শ্রীফুল মহাম্মদ মিয়ার নামে প্রস্তুত ও প্রকাশিত হয়। পুকুরটি শ্রীফুল মহাম্মদ মিয়া বিগত ইংরেজী ০২/০৩/১৯৬৪ তারিখে মোঃ হরফ আলী বরাবর বিক্রয় করে। অতপর হরফ আলীর পুত্র কন্যাগণ বিগত ইংরেজী ১৯/১১/১৯৭৭ সাল তারিখে মোঃ আবু হাসেম বরাবর নালিশী পুকুরটি ৩.৫৮ একর বিক্রয় করেন। অতপর আবু হাসেম উক্ত পুকুরটি বিগত ইংরেজী ০১/০৮/১৯৯৪ সাল হইতে কয়েকটি দলিল মূলে মোঃ আব্দুল করিম দিং পুকুরের মালিক হন। আব্দুল করিম দিং উক্ত পুকুরের খারিজী খতিয়ান, ডি,সি, আর-এ খাজনার দাখিলা প্রাপ্ত হন। অতপর আব্দুল করিম দিং নালিশী পুকুর বিগত ইংরেজী ০৬/০৫/২০১০ তারিখে ৪৭৮১ নং দলিল মূলে পুকুরটি মোঃ তোজাম্মেল হক দিং খরিদ করেন এবং খাজনা খারিজ নং ৪৭৪ (৯-১)১০-১১, তারিখ ১০/০৮/২০১০ হাল নাগাদ ৩,০৩,২৯৮/- টাকা পরিশোধ করিয়াছেন। পুকুরের হাল সন ০৭/১১/২০২৪ ইং তারিখে ৩,০৩,২৯৮/- (তিন লক্ষ তিন হাজার দুই শত আটানব্বই) টাকা খাজনা প্রদান করেন এবং পুকুর পাড়ে ০৩টি গরুর ঘর ও পাহারাদারের ঘর নির্মাণ করে উক্ত পুকুরে মাছ চাষ করিয়া ভোগ দখল করেন। নালিশী পুকুর নিয়ে বগুড়া জেলা যুগ্ম জজ আদালতে আব্দুল করিম দিং ৬৩/২০০২ নং মোকদ্দমা করেন আবুল কালাম আজাদ, পিতা মৃত লুৎফর রহমান এর বিরুদ্ধে। বিগত ইংরেজী ১১/১১/২০০৪ তারিখে উক্ত মামলায় আব্দুল করিম দিং রায় পান। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আবুল কালাম আজাদের পিতা লুৎফর রহমানসহ ১২ জন মহামান্য হাইকোর্টে ৬৫/২০০৫ নং আপিল করেন। মহামান্য হাইকোর্ট ০৭/০৬/২০০৭ ইং তারিখে মোকদ্দমাটি স্ট্যান্ড ডিসমিসড করে রায় প্রদান করেন। তারপর আবুল কালাম আজাদের পিতা লুৎফর রহমানসহ ১২ জনকে বাদী করে পুনরায় বগুড়া জেলা যুগ্ম জজ আদালতে ১৪৫/২০১১ নং ঘোষণার মোকদ্দমা করিলে মাননীয় যুগ্ম জেলা জজ ইংরেজী ২৭/০৩/২০১৩ তারিখে মোকদ্দমাটি রেস জুডিকাটা আইনে বাতিল বা অচল বলিয়া মোকদ্দমাটি খারিজ করেন। উক্ত মোকদ্দমায় মাননীয় জজ ফাইন্ডিংস প্রদান করেন যে, একই সম্পত্তি নিয়ে একই পক্ষগণের মধ্যে বিভিন্ন মিমাংশিত বিষয় নিয়ে নবায কোনো মোকদ্দমা করা যাবে না। অথচ এই মূর্খ ব্যক্তি জেলা রাজশাহী, সাব- রেজিস্ট্রি অফিসে ইংরেজী১৯৬৩ সালে জাল, ভূয়া, অকার্যকর দলিল বানাইয়া বা সৃষ্টি করিয়া পুনরায় জালিয়াতির মাধ্যমে পুকুরটি আত্মস্যাতের জন্য এসিল্যান্ড অফিসে ৮৮৬/২৪ নং মিথ্যা মামলা করে অথচ এই জাল দলিল নিয়ে ইতিপূর্বে কোনো মামলা মোকদ্দমা করে নাই। অতপর আবুল কালাম আজাদ দিং দের বিরুদ্ধে পুকুর পাড়ে ৩টি গরুর ঘর, পুকুরের মাছ চুরি ও ৭টি মেহগণি গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে যায়। উক্ত বিষয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেরপুর কোর্টে মি.।১৮… নং মোকদ্দমা এবং জাল দলিলের বিরুদ্ধে ৮৮৯/২০২৪ নং মোকদ্দমা বিচারাধীন আছে। এমতাবস্থায় আবুল কালাম আজাদ মহামান্য হাইকোর্টের রায় ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের রায়ের তথ্য গোপন করিয়া ও অসত্য তথ্য সৃষ্টি করিয়া ২৫/১২/২০২৪ ইং তারিখে সাংবাদিক সম্মেলণ করেছে। সম্মেলন করে মহামান্য হাইকোর্টসহ অন্যান্য কোর্টের তথ্য গোপন করে যে সম্মেলণ করেছে উহা কোর্ট কনটেমড এর সামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্যের কারণে আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তোজাম্মেল হক ও একজন হাইকোর্টের সিনিয়র এ্যাডভোকেট হিসেবে আমার মান-সম্মান, খ্যাতি জস ও মান মর্যাদা ক্ষুন্ন, এমনকি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করিয়া ৫ (পাঁচ) কোটি টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। একারণে সাংবাদিক ও দৈনিক মানব জমিন এর সম্পাদক এবং নিউজ প্রকাশকের বিরুদ্ধে আমি মানহানির মোকদ্দমা করিব।”