বগুড়া কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ (ইসি নং-৩৬৭৫) কমিটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে মোঃ আব্দুস সোবহান বলেন, “(ক) মোঃ রাশেদুল ইসলাম কর্তৃক বিগত ইং ০৬/১০/২০১৩ তারিখে গঠিত জেলা প্রশাসক, বগুড়া কর্তৃক অনুমোদন বিহিন কমিটি যাহা বিগত ০৫/১২/২০১৩ তারিখে অতিরিক্ত সচিব এ.কে. এম ইয়া হিয়া চৌধুরী বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসক বগুড়া, বাতিল করা সত্বেও মোঃ রাশেদুল ইসলাম নিজেকে সঘোষিত সাধারণ সম্পাদক দাবি করিয়া বিগত ০৯/০৮/২০১৬ তারিখে কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ এর স্বত্বাধিন ৮নং দোকান ঘর হইতে ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা ইং ১৩/০৩/২০১৬ তারিখে ৫১(খ) দোকান ঘর হইতে ২৭,০০,০০০/- (সাতাশ লক্ষ) টাকা ২৪/০৪/২০১৬ তারিখকে ২১/২১ নং দোকান ঘর হইতে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, ১১/০৫/২০১৬ তারিখে ২২নং দোকান ঘর হইতে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা সর্বমোট ৪২,৫০,০০০/- (বিয়াল্লিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা লিজ প্রদান পূর্বক আত্মসাৎ করিয়াছে। (খ) সাধারণ ব্যবসায়ীগণ তাহার নিকট হইতে উক্ত অর্থের হিসাব দাবি করিলে মোঃ রাশেদুল ইসলাম কোন সদ উত্তর দিতে না পারায় সাধারণ ব্যবসায়ীগণ নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে মোঃ রাশেদুল ইসলাম প্রতিহিংসা পরায়ণ বসত নিজের বহিরাগত বাহিনী দ্বারা বিগত ০৫/০৮/২০২৪ ইং তারিখে বড় মসজিদ মার্কেটের দোকান আলম ক্লথ ষ্টোর এবং মার্কিন ট্রেডার্সে হামলা ভাংচুর, লুটপাট করে দোকান ০২ (দুটি)তে তালা দেয়। এবং মসজিদ কমিটির তৃতীয় তলার অফিস রুম এবং পশ্চিম পার্শ্বের অজুখানার সামনে দ্বিতীয় তলার টিনশেড ঘরটিতেও তালাবদ্ধ করে। এবং ০২ (দুটি) দোকানের মালিকের নিকট হইতে ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাক চাঁদা দাবি করে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা রাশেদুল ইসলাম ও তার বহিরাগত বাহিনীর বিরুদ্ধে দুই বা ততোধিক ফৌজদারী মামলা দায়ের করে। যাহা বর্তমানে বিচারাধীন রহিয়াছে।(গ) বিগত ২০/১১/২০২৪ ইং তারিখে গঠিত ০৩ (তিন) বৎসর মেয়াদি ২৭ (সাতাশ) সদস্য বিশিষ্ট বগুড়া কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির পরিচিতি সভায় বগুড়া জেলা প্রশাসক এর প্রতিনিধি হিসাবে এ,ডি,সি জেনারেল গতকাল কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদে যহরের ফরজ নামাজ আদায় করে নবগঠিত কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা শুভ উদ্বোধন করে মসজিদ-এর সার্বিক উন্নয়ন কল্পে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করে। এই সময়ে মোঃ রাশেদুল ইসলাম পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তার বাহিনী নিয়ে মসজিদের ভেতর প্রবেশ করিয়া ইমামজঊউগও ১০ চজওগঊঝ ঝটগঙঘ চজঊঝঝ মুসল্লিদের সুন্নত নামাজ বাঁধা প্রদান করে। এবং এ,ডি,সি জেনারেল সহ কমিটির সকল সদস্যদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ নানান মানহানিকর উক্তি করতে থাকে। এতে মসজিদের নামাজরত সাধারণ মুসল্লিগণ ও নবগঠিত কমিটির সদস্যরা মোঃর রাশেদুল বাহিনীকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। ফলে মোঃ রাশেদুল বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে কমিটির লোকদের হেনেস্তা সহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। এবং কিছু দোকানে ভাংচুর ও লুট তারাজ করে।(ঘ) বর্তমানে মোঃ রাশেদুল ইসলাম নিজেকে নিবন্ধন বিহীন এবং অস্তিত্বহীন বৃহত্তর দোকান মালিক সমিতির তথাকথিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় প্রদান করিয়া সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি এবং প্রহশনের বিচারের নামে সাধারণ ব্যবসায়ীদেরকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করিতেছে। এছাড়া নিজের কর্তৃত্ব ও প্রভাব বজায় রাখার জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ ও স্থিতিশীল করিয়া ব্যবসার ক্ষতি সাধন করিয়া আসিতেছে। ফলে অত্র মার্কেটের বিক্রেতা ও সাধারণ ক্রেতাগণ বর্তমানে মোঃ রাশেদুল বাহিনীর নিকট জিম্মি রহিয়াছে।(ঙ) এই মোঃ রাশেদুল ইসলামের আপন বড় ভাই শরিফুল ইসলাম (নয়ন) সহ আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি এবং রবিন খানের ঘনিষ্ট সহযোগি ছিল। এবং ১নং ওয়ার্ডের পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচনে এই মোঃ রাশেদুল ইসলাম তার ভাইয়ের প্রার্থিতার জন্য রবিন খানের ব্যক্তিগত অফিসে তদ্বীরের জন্য রিতিমত যাতায়াত ছিল। একটি কথা না বললেই না কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ-এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দানকারী মোঃ রাশেদুল ইসলাম কখনোই ওয়াক্ফ অনুমোদিত ভারপ্রাপ্ত সাধরণ সম্পাদক ছিলেন না।(চ) মোঃ রাশেদুল ইসলাম যেটা গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে আপনাদের অবগত করেছেন এটা একটি মিথ্যাচার এবং এই নামে বগুড়ার কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ কমিটিতে কোন পদ নেই। তার স্বপক্ষে কোন দালিলীক প্রমাণাদি তার কাছে নেই। এই পোষ্টগুলি তিনি নিজে নিজেই সৃষ্টি করেন। যেমন হচ্ছে বৃহত্তর দোকান মালিক সমিতি যাকে কেহই মানেন না বা সম্মানের চোখে দেখেন না। তিনি নিজে নিজেই সাধারণ সম্পাদক হয়ে পদটি আকড়ে ধরে বসে আছে। একটি কথা না বললেই নয়, বগুড়াবাসীর প্রাণের নেতা মোঃ হামিদুল হক চৌধুরী হিরু শহর বিএনপির সভাপতি তিনি এবং তার কোন দলীয় নেতা কর্মী এর সাথে সম্পৃক্ত নেই। তাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য চক্রান্ত করছে। মোঃ রাশেদুল ইসলাম তিনি নিজেই একজন দুর্নীতিবাজ।”