চারিদিকে শীতের আমেজ। সুন্দর সুন্দর কেকে ভরে গিয়েছে বাজার। আলোর চাদরে মুড়েছে চার্চ। বেথেলেহেম শহরের এক আস্তাবলে পিতা জোসেফ ও কুমারী মাতা মেরির কোল আলো করে জন্ম নেন যিশুখ্রিষ্ট। এই দিন থেকে ঠিক ৯ মাস আগে যিশুকে গর্ভে ধরেন মাতা মেরি। এমন মনে করেই এই দিনকেই ক্রিসমাস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। প্রারম্ভিক প্রার্থনা শেষে এ কথাগুলো বলেন পালক গিলবার্ট মৃধা। বগুড়া খ্রীষ্টিয় মন্ডলী রবিবার শহরের গোহাইল রোড উপাসনালয় চত্বরে যথাযথ মর্যাদায় খ্রীষ্টমাস ট্রি পালন করেছে। অনুষ্ঠানে কেক কর্তন, ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন, ও ধর্মীয় আলোচনা সভা করা হয়। সভায় বগুড়া খ্রীষ্টিয় মন্ডলীর সভাপতি অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী এতে সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করবে এই উৎসব। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে মানবজাতি পাপ ও ঘৃণার পথ থেকে মমতা, ভালোবাসা ও ক্ষমাশীলতার পথে ফেরানো সম্ভব। প্রভু যিশু বঞ্চিত-লাঞ্ছিত মানুষকে দিয়েছেন বাঁচার অনুপ্রেরণা। তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও নৈতিকতা তথা অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, মানবিকতা ও সহনশীলতার ওপর গুরুত্ব পাবে। বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে ধর্মীয় সংস্কৃতি মিলে আছে, প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিৎ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বগুড়া খ্রীষ্টিয় মন্ডলীর সম্পাদক মাইকেল আশের বেসরা, এ্যাড. বার্নাড তমাল মন্ডল, প্রাচীন টোনাম সরকার, ছবি বিশ্বাস, জর্জেট বুলবুল ব্যাপারি, মার্গারেট বন্দনা জুঁই। শান্তা ক্লোজকে সাথে নিয়ে সকলে খ্রীষ্টমাস ট্রি এর কেক কাটেন।