বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘দেশে অর্থনৈতিক স্থবিরতা চলছে। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ সেভাবে হচ্ছে না। বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রয়োজন। সেদিক থেকে চিন্তা করলে অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটাতে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের একটি রোডম্যাপ দেবে যে কী কী সংস্কার কত দিনে মধ্যে সম্পন্ন করে মানুষের ক্ষমতা মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে।’ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। রুমিন ফারহানা বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ শাসন টিকিয়ে রাখতে স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষের বুলি আওরিয়ে জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছিল। এখন ফ্যাসিবাদী সরকার নেই। জাতিকে আর বিভাজিত হতে দেয়া যাবে না। স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের স্বার্থে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক ধারণা পেয়েছি, নির্বাচন কবে হতে যাচ্ছে। তবে আমরা আরো বেশি আনন্দিত এবং আশ্বস্ত হতাম নির্বাচনটি ঠিক কবে হবে সেটি পরিষ্কার করলে।’ তিনি আরো বলেন, ‘গত ৫ আগস্টেরের পর থেকে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি নানা মহল ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। তারা অন্তর্বর্তী সরকার নির্বিঘ্নে দেশ পরিচালনা করার সুযোগ দিতে রাজি না। সেক্ষেত্রে নির্বাচিত সরকার যেভাবে দেশের সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে, সেটি অন্য কোনো সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে দ্রুত একটি নির্বাচন দিলে সকলের জন্যই মঙ্গলজনক হবে।’ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, “এ বিষয়ে সকল স্টেক হোল্ডারদের একসাথে আলোচনায় বসা উচিত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেছেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেয়া যাবে না।’ আবার তাদেরকে নির্বাচন থেকে দূরে রেখে আমরা পতিত ফ্যাসিবাদীদের অনুসরণ করছি কিনা তাও ভাবার বিষয়।” মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ বি এম মোমিনুল হকসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।