স্টাফ রিপোটারঃ বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয় পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার মাধ্যমে। দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে এ বিজয় ছিনিয়ে আনেন। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। আজকের এ মহান দিনে সেসব বীর সেনাদের সশ্রদ্ধ অভিবাদনও জানান তিনি। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান কবে, কোথায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে সেটি এদেশের কারো জানা নেই। ৭ মার্চ যদি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়ে থাকেন, তাহলে ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে শেখ মুজিবুর রহমান নিজের বাসভবনে কেন পাকিস্তানের পতাকা ঝুলিয়েছে? তৎকালীন ছাত্ররা সেই পতাকা খুলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বক্তব্যে তিনি উক্ত কথা বলেন। সাবেক এমপি লালু বলেন, শেখ মুজিব আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন এটা একটা ভুয়া কথা। ১৯৭১ সালে শেখ মুজিব এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং নিজে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে। ২০২৪-এর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে প্রাণভয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। বাংলাদেশে সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনের অবসান হয়েছে। ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের পর এই গণঅভ্যুত্থান একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, কেএম খাইরুল বাশার এর সঞ্চালনায় আলোচলা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ভিপি সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এমআর ইসলাম স্বাধীন, এম মাফতুন আহমেদ খান রুবেল। আলোচলা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম- সম্পাদক শেখ তাহা উদ্দিন নাঈম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা মহিলা দলনেত্রী অ্যাডভোকেট শাহাজাদী, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শোহরিয়ার গোর্কী, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ময়নুল ইসলাম বকুলসহ বিএনপির ও অঙ্গদলের নেতৃবৃন্দ।