1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
৪ মাস পর চালু হলো কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে স্পিডবোট সার্ভিস - Uttarkon
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্র নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান তারেক রহমানের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার: মির্জা ফখরুল ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে: ইসি মাছউদ ১৬ বছর পর জামিনে মুক্ত তিন শতাধিক বিডিআর সদস্য জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে গাবতলীতে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরন ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী আইন কংগ্রেসে অনুমোদন, গ্রেফতার ৪ বাংলাদেশী ইনার হুইল ক্লাব অব বগুড়ার কম্বল বিতরণ সোনাতলায় অগ্নিনির্বাপণে মুজতাহিদ উদ্ভাবিত পদ্ধতির মহড়া বগুড়া ৪-এপিবিএন এর বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ, ক্রিড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত বদলগাছীতে গাঁজার গাছসহ আটক -১

৪ মাস পর চালু হলো কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে স্পিডবোট সার্ভিস

  • সম্পাদনার সময় : শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৭ বার প্রদশিত হয়েছে

পাবনা প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে বন্ধ থাকার চার মাস পর চালু হলো স্পিডবোট সার্ভিস। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাজীরহাট ঘাটে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে সীমিত পরিসরে স্পিডবোট সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (পোর্ট) এ কে এম আরিফ উদ্দিন। এ সময় আরিচা বন্দর পোর্ট অফিসার মামুনর রশিদ ও নগরবাড়ী নদী বন্দর পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল, আরিচা ঘাটের স্পিডবোর্ট মালিক ভজন দাস, নাসির উদ্দিন, কাজীরহাট ঘাটের স্পিডবোর্ট মালিক রইচ উদ্দিন, ফেরদৌস কবির, সমেজ হোসেন। এছাড়াও দু’পাড়ের বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনকালে বন্দর পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর এই নৌরুটের দু’পাড়ের বোট মালিকরা লাপাত্তা হয়ে যায়। তাদের অনুপস্থিতি কারণে টানা চার মাস স্পিডবোট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন দু’পাড়ের সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের দূর্ভোগ লাঘবে বিআইডব্লিউটিএ উদ্যোগ গ্রহণ করে। লাপাত্তা হয়ে যাওয়া স্পিডবোট মালিকদের রুট পারমিট বাতিল করা হয়। নতুন করে স্পিডবোট মালিকদের কাছ থেকে রুট পারমিটের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। আগ্রহীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই করে প্রথম অবস্থায় কাজীরহাট ঘাটের ৪৩টি ও আরিচা ঘাটের ১১টি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। আরো ৫০টি স্পিডবোটের রুট পারমিটের আবেদন রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাপ্তরিক ও আইনগত বাধা দূর করে বাকি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। তখন পুরোদমে চলাচল শুরু হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বহনসহ নানা বিধিবিধান মেনে স্পিডবোট পরিচালনা করার জন্য মালিক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান পরিচালক আরিফ উদ্দিন। যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১৬ সালের দিকে এই নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরির পাশাপাশি স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। কাজিরহাট থেকে আরিচা নৌরুটের দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এই রুটে ৪টি ফেরি ও ৯টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে সময় কম লাগায় রাজধানীতে যাতায়াতের জন্য স্পিডবোটই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই রুটের যাত্রীদের কাছে। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষ এই রুটে স্পিডবোটে চলাচল করে। ঈদের সময় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার যাত্রী এই রুটে স্পিডবোটে পারাপার হয়। বিগত সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের লোকজনের মাধ্যমে স্পিডবোটগুলো পরিচালনা করতেন। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যায় আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের লোকজন। ফলে সেই দিন থেকে বন্ধ হয়ে যায় স্পিডবোট চলাচল। এমন পরিস্থিতিতে লঞ্চ ও ফেরিতে চলাচল করছিলেন যাত্রীরা। তবে সময় বেশি লাগায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তারা। দাবি জানিয়েছিলেন দ্রুত স্পিডবোট চালু করার। কাজীরহাট থেকে আরিচা অভিমুখে যাওয়া যাত্রী আনোয়ার পাশা বলেন, ‘ঢাকায় চাকরি করি। মাসে এক-দুবার বাড়ি আসা-যাওয়ায় স্পিডবোটেই যাতায়াত করি। এর কারণ সময় কম লাগে। প্রায় চার মাস স্পিডবোট বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। আজকে লঞ্চে পাড় হওয়ার জন্য এসে জানতে পারি স্পিডবোট চালু হচ্ছে। শুনে খুশি লাগছে অল্প সময়ে ঢাকা পাবনা যাতায়াত করতে পারবো।’ আরেক যাত্রী আল আমিন জানান, ‘কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে দূরত্ব কম। দ্রুত ঢাকায় যাওয়া-আসা যায়। আর স্পিডবোটে দেখা যায় ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। অথচ ফেরি বা লঞ্চে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। এই দুর্ভোগ লাঘবে স্পিডবোট সুবিধা হয়।’ কাজিরহাট ঘাটের স্পিডবোট ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন ও আব্দুল বাতেন বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতারা অবৈধভাবে স্পিডবোট ঘাট পরিচালনা করেছে। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নিয়েছে। এই রুটে যেখানে ২০ থেকে ২৫টি স্পিডবোট চালানো যথেষ্ট। সেখানে তারা ৮০টি স্পিডবোট চালাত। বড় একটা স্পিডবোটে ১৬ জন ধারণাক্ষমতা, সেখানে তারা বেশি টাকার আশায় ২১ জন নিত ঝুঁকিপূর্ণ হলেও। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনবান্ধব স্পিডবোট চালু করে যাত্রীদের ভালো সার্ভিস দিতে চাই।’ বিআইডাব্লিউটিএ’র নগরবাড়ী-কাজিরহাট-নরাদহ নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার মো. আব্দুল ওয়াকিল বলেন, ‘আমরা স্পিডবোট মালিক সমিতির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। কিন্তু তারা লাপাত্তা হওয়ায় চালু করা যায়নি। অবশেষে অফিসিয়াল সিস্টেম সম্পন্ন করে নতুনভাবে অনুমোদন সাপেক্ষে স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হলো। আগের সময়ের সকল স্পিডবোটের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies