শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে ১৪ নভেম্বর শনিবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির ইতিহাসে এক মর্মস্পর্শী ও শোকাবহ দিন। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশের ক্ষণজন্মা শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা একটি সমৃদ্ধ এবং মাথা উঁচু করা জাতি দেখতে চেয়েছিলেন। তারা ন্যায়বিচার ভিত্তিক শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রত্যাশা করেছিলেন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে পাক-হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বৈজ্ঞানিক ও সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালে আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি। বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। এটি হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে। ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই সুযোগে সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে আমরা বাংলাদেশকে একটি সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, আধুনিক রাষ্ট্র, একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শাহাদতবরণকারী দেশের প্রথম শ্রেণির শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অম্লান স্মৃতির প্রতি আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক ও জেলা বিএরপির উপদেষ্টা এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. আব্দুল বাছেদ, এম মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, কেএম খাইরুল বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, জেলা বিএনপির নেতা শেখ তাহা উদ্দিন নাঈম, বগুড়া শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার মুকুল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব মমিসহ বিএনপির ও অঙ্গদলের নেতৃবৃন্দ।