পিয়াল হাসান: এখন বগুড়ার বাঁধা কপির রফতানি বাড়ছে। বগুড়ার বাঁধা কপি বিষ মুক্ত হওয়ায় আমদানীকারক দেশে এ সবজি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অতীতের মত বাঁধা কপি চাষে আর কৃষকদের লোকসান গুনতে হয়না। অথবা বাঁধা কপির দাম না পেয়ে গরুকে খাওয়াতে হয় না, রাস্তায় ফেলে দিতেও হয় না। বগুড়ার বাঁধাকপি রপ্তানি হচ্ছে ছয় দেশে। দেশগুলো হলো- মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও সৌদি আরব। দেশের মধ্যে বগুড়া সবজি উৎপাদন এখন শীর্ষে। বগুড়া সকাল থেকে বিরাট সবজির হাট মহাস্থানে পাইকারদের হাঁক-ডাকে মুখরিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে শীত কালীন বাঁধা কপিতে ভরে ওঠে হাট। বিশ্বের বাজারে বগুড়ায় উৎপাদিত সবজির কদর বাড়ছে। বগুড়ায় উৎপাদিত বাঁধাকপি ভালো হওয়ায় রফতানী কারকরা তাদের নির্ধারিত কৃষকদের নিকট থেকে সবজি সংগ্রহ করেন। রফতানি যোগ্য ফসল যাতে কীটনাশক ব্যবহার না হয় সে জন্য কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের নানা ভাবে সহায়তা দিয়ে থাকেন। বিদেশে রফতানি যোগ্য ফসল যেনো বিষ মুক্ত হয়। বগুড়ার হিমাগারে বাঁধা কপি প্যাকেট জাত করা হয়। জানুয়ারি মাসে বাঁধা কপি পরিপুষ্ট হলে আরো রফতানী দিন দিন আরও বাড়তে থাকে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ও দাম বেশী পাওয়ার কারণে কৃষকরা ঝুঁড়ে পড়েছে বাঁধাকপি চাষে। এ বছর বাঁধাকপির ভালো ফরণ হয়েছে বলে কৃষকরা জানায়। এ সব বাঁধা কপির উপরের পাতা ফেলে কাগজে মুড়িয়ে বস্তা করে রফতানির জন্য প্রস্তুত করছেন মহিলা ও পুরুষ শ্রমিক। বছর যতই যাচ্ছে বগুড়া থেকে সবজি রফতানি ততো বাড়ছে। কৃষক বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন করে রফতানি কারকের কাছ থেকে ভালো মূল্য পেয়ে খুশি। শীতকালিন সবজি বলতে প্রথমেই মাথায় আসে বাঁধাকপির নাম। নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই বাঁধাকপি বহু বছর থেকে চাষ হয়ে আসছে কৃষকরা। বাঁধাকপি কাঁচা, রান্না ও শুকিয়ে ৩ ভাবেই খাওয়া যায়। এর পুষ্টিগুণও খাওয়ার পদ্ধতির উপর অনেকটা নির্ভর করে। এমনই সবজি চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন বগুড়ার কৃষক আজিজুল খান। তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাধাকপি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বিগত বছরের মত এবারও তিনি এক বিঘা জমিতে বাধা কপি চাষ করেছেন। প্রতিবারের তুলনায় এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আজিজুল খান জানায়, গত টানা ৪/৫ বছর ধরে বাধাকপি চাষ করে আমি অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন বেশি ভালো হয়েছে। আমি আশাবাদি বাজার যত নিম্নমুখী হোক না কেন, লোকসানে পড়তে হবে না। বাধাকপি চাষে প্রথম দিকে জমি প্রস্তুতসহ চারা লাগানোর পরে খুব একটা পরিচর্যা করতে হয় না। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে বাঁধাকপি হয়। তাই পুষ্টির জন্য আমরা বেশি বেশি করে খেতে পারি এই সবজি। শীতকাল জুড়ে রাখতে পারি সালাদে। আর এই বাঁধাকপি দিয়ে নানা ধরনের রেসিপিও রান্না হয়ে থাকে।